রুবেল হোসেন/ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ: সাতক্ষীরা পৌরসভা দেশের একটি প্রাচীনতম পৌরসভা। ১৮৬৯ সালে ৩১.১০ বর্গ কি.মি. এলাকা নিয়ে খুলনা বিভাগের প্রথম পৌরসভা হিসাবে সাতক্ষীরা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতেই ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা হলেও ১৯৯৮ সালে সাতক্ষীরা পৌরসভা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। পৌরসভার প্রথম সভাপতি তদানিন্তন জমিদার প্রাণনাথ রায় চৌধুরির সময় থেকে অদ্যবদি সাতক্ষীরা পৌরসভা তার প্রাচীন জৌলুশ বহন করে চলেছে।
সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দারিদ্র মুক্ত, বর্জ্যদূষণ মুক্ত, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দক্ষ নিরাপদ ও আধুনিক নগর হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাতক্ষীরা পৌরসভা পরিচালিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বর্জ্য নিষ্কাষন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। পৌরবর্জ্য নিষ্কাষণে পৌর কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে মনে করেন পৌরবাসী। বর্জ্য নিষ্কাষনে পৌর এলাকায় নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা। মাঝে মধ্যে পৌরবর্জ্য নিষ্কাষন ভ্যান চোখে পড়লেও তারা গৃহপ্রতি মাসিক ১০০-২০০ টাকার চুক্তিতে গৃহস্থালির বর্জ্য সংগ্রহ করেন। সাধারণ মানুষ টাকা দিয়ে বর্জ্য অপসারণ করাতে পারে না আবার দৃষ্টিসীমার মধ্যে কোথাও নেই ডাস্টবিন। নিরুপায় হয়ে নাগরিকরা গৃহস্থালির বর্জ্য যত্রতত্র ফেলছেন। এতে করে দূষিত হয়ে পড়ছে পরিবেশ। ঝুকি বাড়ছে বায়ু বাহিত নানা রোগের। এসব ভাগাড় থেকে কখনো বর্জ্য উপচে পড়ে আবার কখনো কাক, কুকুরের মাধ্যমে এসব বর্জ্য রাস্তায় এসে পড়ছে। ফলে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী সহ লোকজনদের চলাচলে হতে হচ্ছে বিড়ম্বনার সম্মুখিন।
প্রাণসায়র খালের দুই ধার দিয়ে ফেলা হচ্ছে ময়লা। সাতক্ষীরার প্রাণকেন্দ্র সাবেক নিউমার্কেট এলাকা, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রাচীরের গায়ে, পলাশপোল সবুজবাগ কোর্ট মসজিদের সামনে, শহরের নিরাময় ক্লিনিকের সামনে দিয়ে পলাশপোল বউবাজার যাওয়ার আগে, বউবাজার থেকে ষ্টেডিয়াম যাওয়ার পথে, মধুমোল্লারডাঙ্গী স্পন্দন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অদূরে, আতিয়া মসজিদের পাশে, পশ্চিম পলাশপোল, ফুড অফিস মোড়, জিয়া হলের সামনে সহ পৌর এলাকার যত্রতত্র এমন ময়লার ভাগাড় সহসাই চোখে পড়ে।
সরেজমিনে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) মধুমোল্লারডাঙ্গী স্পন্দন ক্লিনিকের সামনে যেয়ে দেখা যায় চলাচলের রাস্তার পার্শ্বে ফেলা ময়লা উপচে রাস্তার উপর এসে পড়ছে। কয়েকটা কুকুর এসব ময়লা নিয়ে টানাটানি করছে। এমন সময় বালতি হাতে ময়লা ফেলতে দেখা যায় একই এলাকার মুদি দোকানী ইয়াছিনকে। এখানে ময়লা ফেলছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আশেপাশে কোথাও ময়লা ফেলার ডাস্টবিন বা নিদ্দিষ্ট জায়গা নেই। পাড়ার সকলে এখানে ময়লা ফেলে তাই আমিও ফেলছি।”
বুধবার সকাল ১১ টয় সাতক্ষীরা শহরের প্রণকেন্দ্র জর্জকোর্টের পাচিলের গায়ে আবর্জনার স্তুপ দেখা যায়। আবর্জনার স্তুপের মধ্যে মৃত কুকুর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌরসভাকে উক্ত বর্জ্য অপসারণ করতে দেখা যায় নি।
দিনের পর দিন এসব ময়লা ভাগাড়ে পড়ে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। দীর্ঘ্যদিন পড়ে থাকা এসব বর্জ্যরে দুর্গন্ধে দূষিত হয়ে পড়ছে আশেপাশের পরিবেশ। যা থেকে সংক্রমণ হতে পারে ফুসফুসের রোগ সহ নানাবিধ সংক্রামক রোগের এমনটাই ধারণা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুব্রত ঘোষ সাতনদীকে জানান, “করোনাকালীন সময়ে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস গৃহস্থালির বর্জ্যরে সাথে ময়লার ভাগাড়ে ফেলা হচ্ছে যা করোনা সংক্রমণের ঝুকি বাড়ছে। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড সহ বিভিন্ন পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত রোগ হতে পারে।”
সাতক্ষীরা জেলা পরিবেশ রক্ষা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. এ.বি.এম সেলিম বলেন, “জনবসতির তুলনায় পৌর এলাকায় পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও অকেজো। দিনশেষে আরেকটি দিন আসার আগেই বর্জ্য অপসারণের জন্য পৌরসভার প্রতি দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নির্দিষ্ট পোশাক থাকতে হবে যাতে করে মানুষ সহজেই তাদের চিনতে পারে। ময়লা বহনের গাড়ি লোড হওয়ার পর ত্রিপল জাতীয় পুরু কাপড় দিয়ে ঢেকে বহন করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। পৌরসভার পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদকেও কার্যকর ভ‚মিকা রাখার আহবান জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. অসীম কুমার মন্ডল মনে করেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ত্রুটির জন্য পৌরসভা সম্পূর্ণভাবে দায়ী। প্রতি ৫০ ঘর বসতির জন্য কমপক্ষে ১ টি ডাস্টবিন স্থাপনের দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, “সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পরিবেশবাদী সংগঠন, নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে পৌরসভার নিয়মিত মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে হবে। প্রাণসায়র খালের পাশ দিয়ে হাটা যায় না, ময়লায় খাল আবার পরিপূর্ণ হতে চলেছে। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে পৌরবাসীদেরও কিছু দায়ব্ধতা আছে।” পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে যত্রতত্র ময়লা না ফেলার জন্য পৌরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
জেলা পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান বাপ্পী ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. কাজী আব্দুল্লাহ আল হাবীব ও পৌরসভার উদ্যোগে সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার, পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণের প্রয়োজন বলে মনে করেন।
পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পদক্ষেপ কি এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, “পদক্ষেপ নিতে হলে পৌরসভার বিরুদ্ধে যেতে হয়। পৌরসভা না হয়ে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান হলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। পৌরসভাকে বিভিন্ন ফোরামে এ ব্যাপারে বলা হলেও তারা বর্জ্য নিষ্কাষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমাদের লোকবলের ঘাটতি থাকায় ঠিকমত মনিটরিং করতে পারি না।” পৌরসভার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “তাদের ফান্ডের ঘাটতি থাকলে আমাদের বলুক আমরা ফান্ডের জোগান দেওয়ার চেষ্টা করবো।”
তবে পৌরসভার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, “ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য নিদ্দিষ্ট জায়গা না পওয়ায় আমরা ডাস্টবিন স্থাপন করতে পারছি না। কেউ জায়গা দিলে সেখানে ডাস্টবিন স্থাপন করবো।
৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শফিক-উদ-দৌলা সাগর বলেন, “ ময়লার পানিতে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায় তাছাড়া আমাদের লোকবলের ঘাটতি থাকায় ময়লা অপসারণে বিলম্বিত হয়। তবে আমরা ৩ দিনের বেশি ময়লা রাখি না।
জেলা বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী সাতনদীকে বলেন, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সম্পূর্ন পৌরসভার। বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্বহীনের মত কাজ করেন। সাবেক মেয়র আশরাফুল হক প্রত্যুশে বর্জ্য অপসারণের খোজ নিতেন কিন্তু বর্তমান মেয়র তা নেন না। দিনের মধ্যে ময়লা অপসারণ করতে হবে। প্রয়োজনে পৌরসভা সমস্যা সমাধানে সভা, সেমিনার ও সংলাপের আয়োজন করতে পারে।”
বর্জ্য অপসারণে ব্যার্থ হলে মেয়রের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
সাতক্ষীরা পৌরসভার বর্তমান মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ডে নাইট কলেজ, মিশন স্কুল, পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা, বড়বাজার, চালতে তলায় ডাস্টবিন স্থাপন করেছি। কিছু জায়গায় অবশ্য সমস্যা আছে। সেখানে ময়লা বহনকারী পৌছাতে পারে না বলে আমরা ময়লা অপসারণ করতে পারি না। ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য কেউ জায়গা দিতে চায় না। জায়গা পেলে অবশ্যই ডাস্টবিন স্থাপন করবো।” ভ্রাম্যমান ডাস্টবিন স্থাপনের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ আমাদের আপাতত এমন কোন পরিকল্পনা নেই।” বর্জ্য পরিস্থিতির সমাধান কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ এক্ষেত্রে নাগরিকদের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। বাসায় যে এনজিও প্রদত্ত ভ্যান যায় মাসিক ১০০ টাকার বিনিময়ে উক্ত ভ্যানের সাহায্যে ময়লা অপসারণ করতে হবে। আমরা সংরক্ষিত বর্জ্য রিসাইকেলিংয়ের মাধ্যমে শক্তিতে পরিণত করার পরিকল্পনা করছি।”
সব মিলিয়ে একটি পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন আধুনিকমানের পৌরসভা গড়ে তোলার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার নাগরিকরা। যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে পৌর এলাকায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গড়ে না উঠলে অদূর ভবিষ্যতে চরম বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
বিশিষ্টজনরা যা বলছেন:
ডাস্টবিনের ময়লাও অপসারণ করা হয় না – শেখ আজহার হোসেন
সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন জানান, পৌর এলাকায় পর্যাপ্ত ডাস্টবিন তো নেই উপরন্তু যে ভঙ্গুর ডাস্টবিন আছে তা থেকেও সময়মত ময়লা অপসারণ করা হয় না। আমার বাসার সামনে একটা ডাস্টবিন আছে সেখান থেকে ময়লা উপচে পড়লেও অপসারণ করা হয় না। পরিচ্ছনতাকর্মী বৃদ্ধি করে বর্জ্য নিষ্কাষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ময়লার গাড়ি যেতে পারে না বলে ময়লা অপসারণ করতে পারি না পৌর মেয়রের এমন বক্তব্য সম্পূর্ণ দায় এড়ানোর পায়তারা।
দিনে দুইবার ময়লা অপসারণ করতে হবে- হারুন-অর-রশিদ
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বলেন, “শহরে দুই শ্রেনির মানুষ বাস করে। কেউ কেউ সকালে ময়লা ফেলে আবার কেউ দুপুরের পর ফেলে। এজন্য পৌরসভাকে সকাল ১০-১১ টায় এবং বিকাল ৩ টা নাগাদ বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলার জন্য নাগরিকরাও অনেক সময় দায়ী। অনেকে সন্ধ্যা নামলেই ড্রেনে ময়লা ফেলে। ফলে নালা আটকে পয়ঃনিষ্কাষণ ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে।” কোথাও খোলা ড্রেন না রাখার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান তিনি।
বর্জ্য ফেলা নিয়ে নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি-আনিসুর রহিম
জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিম মনে করেন পৌরসভার পাশাপাশি নাগরিক হিসাবে সকলের কিছু দায়বদ্ধতা আছে। তিনি বলেন, “এককভাবে পৌরসভাকে দায়ি করা সমীচীন নয়। আমরা অনেকে যত্রতত্র ময়লা ফেলি, ড্রেনে ময়লা ফেলি। শহর আমাদের, আমাদেরই বসবাস করতে হবে সুতরং যত্রতত্র ময়লা ফেললে সবথেকে বেশি ক্ষতি আমাদের হবে। তাই এককভাবে পৌরসভাকে দায়ী না করে আমাদের সকলকে বর্জ্য অপসারণে সচেতন হতে হবে।
পৌর মেয়র প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি- এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি ও নাগরিক আন্দোলনের নেতা এ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু দৈনিক সাতনদীকে বলেন, “ শহর এলাকার বর্জ্যজনিত সমস্যার জন্য পৌরসভা অনেকাংশে দায়ী। পৌর কর্তৃপক্ষ নিজেরাও প্রাণসায়র খালে ময়লা ফেলে। জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামালের সময়ে তিনি ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রীন সাতক্ষীরা’ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের ডেকে আলোচনা সভা করেছিলেন। বর্তমান মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতিও উক্ত মিটিংয়ে ছিলেন। তিনি ৩৩ জায়গায় ডাস্টবিন স্থাপন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু পৌর মেয়র তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন নি।
বর্জ্য রিসাইকেলিং করতে হবে- শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু
জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু বলেন, “সাতক্ষীরায় দৈনিক ৫-৬ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যা থেকে ৩০-৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়। বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস তৈরি করা যায়। পৌরসভা সংগ্রহকৃত বর্জ্য বাইপাশের ধারে ফেলে যা থেকে ভয়ানকভাবে পরিবেশ দূষিত হয়। এজন্য পৌরসভাকে উদ্যোগ নিয়ে ময়লা স্তুপ আকারে না রেখে পরিশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।” নাগরিকদের যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নিদ্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে হবে।