জি,এম,নজরুল ইসলাম,শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। ঠিকমতো মাক্স ব্যবহার করছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। অনেকের মুখে মাক্স থাকলেও একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন, নিরাপদ দূরত্বের তোয়াক্কা করছেন না তারা। ক্রেতা ও বিক্রেতার এমন চিত্র দেখা গেছে মুন্সিগঞ্জ বাজারে। এ বিষয়ে আগে কড়াকড়ি থাকলে ও এখন তদারকির অভাব। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিকভাবে একে অন্যের তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে বলা হলেও সেটা মানছে না ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। তবে কেউ কেউ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে।
মুন্সিগঞ্জে বাজার করতে যাওয়া বেসরকারি পতিষ্ঠানে কর্মরত ওমর ফারুক বলেন, এক মাস আগে কিছু বাজার করেছিলাম সেগুলো দিয়ে কিছুদিন চললাম। ফ্রিজে কোন মাছ, মাংস ও কাঁচা বাজার নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাজারে এসেছি। কিন্তু সারাদেশের চিত্র একরকম আর এই বাজারে তার পুরোটাই উল্টো দেখছি। নিরাপদ দূরত্ব কেউ মানছেন না। গায়ে গা ঘেঁষে বাজার করছেন। একটু সরতে বললে আড়চোখে তাকাচ্ছেন, এতে করে নিজেই বিব্রত হচ্ছি। কেউ কেউ বলছেন এতোই যখন ভয় তাহলে বাজারে না আসলেই হয়।
নাহিদ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, করো না প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। তাই এক্ষেত্রে সরকারকে আরো কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এদিকে বিক্রেতারা সরকারি নির্দেশনা মানছেন না, ক্রেতা পেয়েই খুশি, ক্রেতাদের ভিড়ে করোনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে এড়েয়ে যাচ্ছেন তারা।
উপজেলার হরিনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মানুষের ভিড় পুরো বাজারে। মাছের দোকান কিংবা সবজির সবখানেই ক্রেতা সমাগম। মুখে মাক্স থাকলেও একে অপরের সঙ্গে কোন দূরত্ব মানছেন না। অলিতে গলিতে বিভিন্ন বয়সী লোকের আড্ডা। বিশেষ করে টি স্টলগুলোতে তরুণ ও কিশোরদের আড্ডা দেখে মনে হয়েছে, তাদের মধ্যে করোনার কোন ভয় বা আতঙ্ক নেই। নিয়ম রক্ষায় মাক্স অনেকে গলায় ঝুলিয়ে করছে ধূমপান। সামাজিক দূরত্ব বলতে কিছুই মানছে না তারা।
করোনা ভাইরাস জনিত কোভিট-১৯ রোগ বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপ নিয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার জনগণকে ঘরে অবস্থান করতে বলেছেন। ৩০মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঘোষণায় বলা হয় করোনা ভাইরাস সংক্রমনের এ সময়ের মধ্যে বাড়ির বাইরে চলাচলের সময় অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করতে হবে। কোন ব্যক্তি এই নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাক্স না পরে বাইরে চলাচল করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদন্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে।
হাট-বাজার গুলিতে কঠোর নজরদারি না থাকায় বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে হাট বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন বাজার ও দোকানপাট থেকে এ মুহূর্তে করণা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।