প্রধান প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার জমিদার বাড়ি ভুলোর মোড় এলাকায় ইয়াবা দিয়ে যুবককে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন কথিত সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী। সোমবার বেলা ১১টার দিকে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
আটক মোহাম্মদ আলী (২৫) শ্যামনগর উপজেলার হায়বাতপুর শেখ পাড়া গ্রামের বারেক আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী যুবক ইয়াছিন গাজী (১৮) শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ কুলতলী এলাকার রফিকুল গাজীর ছেলে।
শ্যামনগর উপজেলার হায়বাতপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জগন্নাথ রায় জানান, এই মোহাম্মদ আলী বিভিন্ন সময় নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দেয়। কখনো সাংবাদিক আবার কখনো সাংবাদিকদের নেতা হিসেবেও পরিচয় দিয়ে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রভাব খাঁটিয়ে চলেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগও রয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, মোহাম্মদ আলী নিজেকে দৈনিক সকালের আলো নামে একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয় দেন। একই সঙ্গে কথিত সংগঠণ শ্যামনগর অনলাইন নিউজ ক্লাবের সাংগঠণিক সম্পাদকও পরিচয় দিয়ে থাকেন। রোববার বিকেলে মোহাম্মদ আলী মোবাইল ফোনে থানায় অভিযোগ করেন ইয়াছিনের কাছে পাঁচ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। ঘটনা জেনেই তাৎক্ষনিক পুলিশের ফোর্স জমিদার বাড়ি ভুলোর মোড় এলাকায় উপস্থিত হন। বিষয়টি পুলিশের সন্দেহ হলে মোহাম্মদ আলী ও ইয়াছিনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ওসি আরও বলেন, পরবর্তীতে ঘটনার অনুসন্ধান করে জানা যায় ঘটনাটি সাজানো। মোহাম্মদ আলীসহ চারজন ছেলেটিকে মারপিট করে ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য পুলিশের কাছে মিথ্যে অভিযোগ করে। ঘটনার বিষয়ে মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগী সুজন শেখ, মাছুম ও উপজেলার নকিপুর এলাকার আলমগীরের ছেলে ইয়াছিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকি তিন অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বেলা ১১ টার দিকে কথিত সাংবাদিক মোহাম্মদ আলীকে ইয়াবার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শ্যামনগরে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন এক যুবক
পূর্ববর্তী পোস্ট