নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশর সর্ব দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সুন্দরবন বেষ্টিত দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর। বর্তমানে নানান সমস্যায় জর্জরিত উপজেলার এক মাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি। শ্যামনগর হাসপাতালে স্বাস্থ্য কমিটির সভা না ডাকা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় জর্জরিত শ্যামনগর হাসপাতাল।
হাসপাতালের ইসিজি ও এক্সরে মেশিন দু-টি দীর্ঘ দিন যাবত নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় গরীব রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক সহ জেলা শহরে ছুটতে হয়। সেক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহ নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয় অনেক রোগীকে। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সব ধরণের সুবিধা থাকলেও সেগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। বিভিন্ন যন্ত্রপাতির অভাবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি। হাসপাতালের ভিতরে ঢুকলেই চোকে পড়ে নানা অনিয়ম সহ অব্যবস্থাপনা । আসলেই এ দেখভাল করার দায়িত্ব কার এটিই যেন কেউ জানেন না। দূগন্ধের কারনে হাসপাতালে আসা রুগী ও তার স্বজনেরা আরো বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও এ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই কারো। এছাড়া হাসপাতালের ছাদে বড় বড় ফাটল ধরলেও এনিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো উপক্রম দেখছেনা সাধারণ মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্য সচিব প্রতি মাসে সভা আহবান করার কথা থাকলেও তা করা হয় না। এখানে সব কিছু হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার ইচ্ছে অনুযায়ী। কোন মাসে ঠিকঠাক মিটিং হয় না। বর্তমানে হাসপাতালে কারোও কোন মতামত প্রকাশের সুযোগ নেই। সকল সমস্যার মূলে বর্তমান টিএইচএ ডা. অজয় সাহাকে দুষছেন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। এবিষয়ে টি এইচ এ ডা. অজয় সাহা বলেন, গত আগষ্ট মাসে সভা হয়েছিল।এরপরে বিভিন্ন ব্যস্ততা থাকার কারনে আর সভা ডাকা হয়নি তবে এমাসেই সভা হবে।আর হাসপাতালের যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চলছে।