আব্রাহাম লিংকন: শ্যামনগরের ৫নং কৈখালী ইউনিয়নে নতুন মিটার ও লাইন দেয়ার নামে চলছে অর্থ বানিজ্য, তদন্তে পল¬ী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। গত ১৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে কৈখালীর কিছু ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ফলে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পাটকেলঘাটা পল্ল¬ীবিদ্যুৎ এর এজিএম আব্দুল হান্নান ও আশাশুনি পল¬ীবিদ্যুৎ এর ডিজিএম নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস কৈখালীতে তদন্তে আসেন। তদন্তে ভূক্তভোগিরা জানান, নতুন মিটার দেয়ার নাম করে ২ হাজার টাকা এবং লাইন দেয়ার নামে প্রথমবার ২শ টাকা, পরে ৫শ টাকা করে উঠিয়েছে এলাকার এক শ্রেনীর দালালরা। প্রমানের পর পাটকেলঘাটা পল্ল¬ীবিদ্যুৎ এর এজিএম আব্দুল হান্নান জানান, সরকারীভাবে মিটার বাবদ ৪শ’ টাকা করে নিচ্ছে অফিসে। আর নতুন লাইনতো একটু অপেক্ষা হলেও ফ্রি টানছেন। আমাদের অফিসের স্টাফরা যদি কোন অর্থ উঠায় আমাদের কাছে অভিযোগ করবেন কিন্তু যদি এলাকার প্রভাবশালী মহল এই টাকা উঠায় তা হলে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা প্রত্যেক এলাকাতে দালাল থেকে সাবধান এমন ধরনের সতর্কীকরন মাইকিং বা মৌখিক প্রচার দিয়েছি। আপনাদের বেশি করে সচেতন হতে হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা অফিসিয়ালভাবে দেখছি কি করা যায়। এদিকে এলাকায় প্রচার দিয়ে বেড়াচ্ছে বেশ কয়েকজন দালাল। টাকা না দিলে মিটার বা লাইন পাবে না, চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে, ৬ মাস অথবা ১ বছর ধরে অফিসে হাঁটতে হবে। সেই ভয়ে অর্থ দিতে বাধ্য হতে হচ্ছে এলাকার নিরীহ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন গ্রাম হবে শহর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেবেন। এমন সুযোগের অপেক্ষায় কিছু দালাল যারা এই নিয়ে বার্নিজ্য শুরু করেছে। তবে পল্লীবিদ্যুৎ এর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। আবার প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এদেও বিরুদ্ধে কে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। কৈখালীর নতুন লাইন টানা বা নতুন মিটার দেয়া এমন ধরনের বাড়িতে যেয়ে জানা গেছে, কে বা কাহারা অর্থ তুলছে এমন প্রশ্নে উঠে এসেছে কয়েকজনের নাম। দাউদ মাষ্টারের পুত্র আব্দুর রহমান ওরফে আবু, সাকাত মোল¬্যার পুত্র আবুল হোসেন, জলিল মল্লি¬ক, এরশাদউল¬াহর পুত্র ওলিউল¬াহ, সাইফুল আলমের পুত্র বুলবুল, মৃত্যু কেফা পাড়ের পুত্র রুহুল কুদ্দুস পাড়, মনতেজ মোড়লের পুত্র হাবিবুর রহমান, তোহিদ সরদারের পুত্র আব্দুল আজিজ, আবু মুছা শেখের পুত্র মুজিবর রহমান, হাবিবুর রহমানের পুত্র ফিরোজ আহম্মেদ, মজিদ শেখের পুত্র রাশিদুল, মুছা হুজুরের পুত্র ইলিয়াস, সাত্তারের পুত্র সুমন, হামেদা গাজীর পুত্র মোজাম, আজিবার গাজীর পুত্র সাহেব আলী, মকবুল হোসেনর পুত্র ডাক্তার মাহবুব, গহর ময়রার পুত্র বাবু। এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা কোন অর্থ উঠায়নি, বরং পল্ল¬ী বিদ্যুৎ এর অফিসের লোক কিছু টাকা তুলেছে। এদিকে ইউনিয়নে চাঁদাবাজি করার কারনে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনে তার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
শ্যামনগর কৈখালী বিদ্যুৎ সংযোগের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজীর অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট