আব্রাহাম লিংকন, রমজাননগর প্রতিনিধি: শ্যামনগরের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি: এর ভেটখালী এজেন্ট ব্যাংকের শাখা গত ১৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে ভেটখালী বাজারের নূর মার্কেটে দুপুর ১ টায় উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির এম ডি,সহ কর্মকর্তা বৃন্দ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদুজ্জামান সাইদসহ সফর সঙ্গীরা, রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের সাংবাদিকবৃন্দ সহ স্থানীয় সুধী সমাজ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বিশেষ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় অতিথিদের ও সাংবাদিকদের চরমভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত সুধীজনেরা। এ ছাড়া দাওয়াত দিয়ে সাংবাদিকদের অবমূল্যায়নের অভিযোগও উঠেছে। জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর রমজাননগর ও কৈখালী রিপোর্টস ক্লাবের সকল সদস্যদের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি: এর ভেটখালী এজেন্ট ব্যাংকে উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাংক কর্মকর্তারা মৌখিক ভাবে দাওয়াত দিয়ে যায়। অনুষ্ঠানে রমজাননগর ও কৈখালী রিপোর্টাস ক্লাবের সকল সদস্যরা অনুষ্ঠানে হাজির হলে তাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়। রমজাননগর ও কৈখালী রিপোর্টাস ক্লাবের সকল সদস্যরা অভিযোগ তুলেছেন যে, মৌখিক দাওয়াতে তারা অনুষ্ঠানে গেলেও ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদেরকে অবমূল্যায়ন করেন। ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রেখে তাদেরকে হয়রানী করা হয়। প্রোগ্রামেও তাদেরকে অমূল্যায়ন করেন অনুষ্ঠান পরিচালক।
শ্যামনগরের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি: এর ব্যাবস্থাপক মো: আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিয়ে ০১৯৯২০৪৪২০৫ মোবাইলে বলেন, আমিও আপনাদের মত অতিথি। ফরমেট ছাড়া যখন কার্ডগুলো প্রিন্ট করছিল আমি জানার পর বন্ধ করে দেই। তবে সমস্ত আয়োজক সাহাজান সিরাজ (শিমুল)। তিনি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশও করেন ।
এদিকে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লি: এর ভেটখালী এজেন্ট ব্যাংকের নয়া কর্মকর্তারা স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের দাওয়াত কার্ড না দিয়ে গ্রাহক ধরার জন্য অর্থশালীদের কার্ড দিয়ে আমন্ত্রন করেছে।
পাশে অবস্তিত অগ্রণী ব্যাংক লি: ভেটখালী শাখার একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, সাহাজান সিরাজ (শিমুল) তার বক্তব্যে প্রকাশ্য অগ্রণী ব্যাংক লি: ভেটখালী শাখার নামে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করে কুটুুক্তি করেন।
রমজাননগর ও কৈখালী রিপোর্টস ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সভাপতি মো: মহাসিন হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক আলী মোর্তেজা জয় ও সদস্য সচিব মো: মনির হোসাইন সহ সকল সদস্যরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।