ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জে সুশান্ত ঘরামী নামের এক ব্যক্তির উপর হিন্দু মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে সেই এলাকার গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো সুশান্ত আতঙ্কে ভুগছে। যে কোন সময় আবার যে কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলে। সরজমিনে ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নে পশ্চিম জেলেখালী রানীর গ্যারেজ নামক স্থানে বিষ্ণুপদ ঘরামীর পুত্র সুশান্ত ঘরামী (৩৪) এর বসবাস। বসবাস করাকালে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে হিন্দু মুসলমানসহ গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলোকে নির্যাতন করে আসছে। এমনকি তার কথা না শুনলে পুলিশ দিয়ে তা নাহলে মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। অনেকেই তার ভয়ে অত্র এলাকার জমি জমা বিক্রি করে ভারতে চলে গেছে। এমনিই এক অভিযোগকারী নিরাপদ মন্ডল বলেন, সুশান্ত ঘরামী তার শালার ছেলে। নিরাপদ এর বয়স এখন ৭৫ বছর। এই বয়সে সুশান্ত ঘরামী তার নামে সাতক্ষীরা কোর্টে মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা দিয়েছে। সেই মামলায় যেতে এই বয়সে তার খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই তিনি এই সুশান্ত ঘরামীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। আরেক অভিযোগকারী পূজা রানী বলেন, সুশান্ত তার আপন ভাইয়ের ছেলে। তার এই অপকর্মে অত্র এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এলাকার হিন্দু মুসলমানদের ভিতরে দাঙ্গা বা মারামারি বাধিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তিনিও সুশান্তর বিচার চান। যেন আগামীতে এমন কাজ আর না করে। অত্র এলাকার মাতব্বর হরিপদ মন্ডল বলেন, সুশান্তর বড় চাচা নির্মল ঘরামী তার কোন ছেলে সন্তান নেই। ছেলে সন্তান না থাকায় সেই সুযোগে সুশান্ত ঘরামী তার চাচার জমি জোর পূর্বক দখল করে দুই বছর সেই জমির ফসল নিজে আত্মসাৎ করে। সেই দুঃখে কষ্টে সুশান্তর চাচা নির্মল ঘরামী জমি বিক্রয় করে ভারতে চলে যায়। সুশান্তর কিছু বলতে গেলে সে বলে, আমার কেউ কিছু করতে পারবে না। আমার পিছনে উপর মহলের লোক আছে। আরও আছে শ্যামনগরের অনেক নেতা । এছাড়া তদন্ত করলে এরকম আরও বহু প্রমান সুশান্তর বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে বলে এলাকাবাসী জানান। তাই এলাকাবাসীর দাবী আগামীতে এই সুশান্ত ঘরামী আর কোন মানুষের নামে মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা ও মাননীয় এমপি সাহেবের নাম ভাঙিয়ে অত্র এলাকায় কোন প্রকার খারাপ কাজ না করতে পারে, তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চেয়ে সরকারের আইন শৃঙ্খলাসহ উদ্ধর্তন কমকর্তার প্রতি জোর দাবী জানান।
শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জের সুশান্ত ঘরামীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ : শাস্তির দাবী
পূর্ববর্তী পোস্ট