নিজস্ব প্রতিবেদক: খাবারের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে সাতক্ষীরা এক কৃষক পরিবারের ৩ সদস্যকে অচেতন করে ও একজনকে বেঁধে রেখে বাড়িতে থাকা মূল্যবান মালামাল ও নগদ অর্থ লুট করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশিরা অচেতন অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চেতনা ফিরে ফিয়ে জুয়েল হাসান জানান, বুধবার রাতে খাবারের সাথে গোপনে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে রাখে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। রাত ১০ টার দিকে ওই খাবার খেয়ে তিনিসহ অচেতন হয়ে পড়ে পরিবারে অন্য ২ সদস্য তার পিতা মাহবর মোল্লা ও মাতা ফাতেমা,কিন্তু তার ছোট বোন জান্নাতুল মাওয়া ঐ দিন রাতে কোন খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ায়, রাত অনুমানিক ১ টার দিকে জোর পূর্বক দরজা খোলার আওয়াজ ও দুর্বৃত্তদের পায়ের শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়, এবং সে চিৎকার করার চেষ্টা করতে গেলে, দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো ছুরি দেখিয়ে তাকে হত্যা করার ভয় দেখিয়ে তার মূখ হাত পা বেঁধে রাখে,এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা পরিবারের সদস্যদের গায়ে থাকা সোনার দুল, বালা,ও লকারে থাকা চেইন, আংটিসহ কমপক্ষে ২ভরি সোনা, ঘরে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশিরা টের পেয়ে সকাল৭ টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে জান্নাতুল মাওয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,দুর্বৃত্তরা ৫জন ছিলো, তাদের প্রত্যকের মুখ, তাদের গায়ের জামা ও গামছা দ্বারা ঢাকা ছিলো। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কতব্যরত কর্মকর্তা নূর আলমের কাছে জানতে চাইলে,তিনি একই পরিবারের ৩ সদস্যের অসুস্হতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তারা কিভাবে অসুস্থ্য হয়েছে এ ব্যাপারে সঠিক পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া কোন কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না বলে তিনি জানান।
সাতক্ষীরায় একই পরিবারের ৩ জনকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট
পূর্ববর্তী পোস্ট