নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-শ্যামনগর রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ। সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর, মেডিকেল কলেজ ও দুই সংসদীয় এলাকার একমাত্র যাতায়তের এ সড়কটির বেহালদশায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হযেছে। সাতক্ষীরা জিরো পয়েন্ট থেকে শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়কটির এ দুরাবস্থা দীর্ঘদিনের। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগ প্রতি বছর নামে মাত্র পুর্টিং দিয়ে মেরামত করলেও এ সড়কে চালাচলকারীদের দূর্ভোগ কমেনি এতটুকু। সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষ বলছেন পুটিংএর জন্য এবার বরাদ্দ হয়েছে ৯০লাখ টাকা। প্রায় প্রতি বছরই এমনই বরাদ্দ থাকে পুটিংয়ের জন্য।
জানাগেছে, ভোমরাস্থল বন্দরসহ এই সড়কটি সাতক্ষীরা-দেবহাটা-কালীগজ্ঞ-শ্যামনগরের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। অথচ সড়কটি দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও শুধুমাত্র মেরামতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
দেবহাটা উপজেলার সখিপুর হাজী কেয়ামুদ্দিন মহিলা কলেজের অধ্যাপক নওশাদ আলম লিপন জানান তিনিসহ একই কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক সাতক্ষীরা থেকে প্রতিদিনই কলেজে যান। রাস্তার দূরাবস্থার কারনে প্রতিনিয়ত তাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। শুধু তারাই নন এরকম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এ রাস্তায় চলাচলকারী অফিস,স্কুল-কলেজগামী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, জমি-জমা বিষয়ে সাতক্ষীরা জজকোর্টে মামলা থাকায় প্রায়ই সাতক্ষীরায় আসতে হয়। কিন্তু রাস্তার ভোগান্তির কারণে তাকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি এড.ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। এ সড়কে প্রতিনিয়তি দূর্ঘটনা লেগেই আছে। যে রাস্তাটি তিন সাংসদ ব্যবহার করেন। অথচ সেই রাস্তার এই করুণ দশা খুবই দু:খ জনক। দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। কিন্তু এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন এভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় সরকারকে নানা প্রশ্নের সম্মুখিত হতে হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দীন বলেন, ১৫ বছর আগে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। রাস্তাটি পুনরায় নির্মানের লক্ষ্যে ৩১০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। যেহেতু এখনো অনুমোদন হয়নি। সে কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের চলাচলে ভোগান্তি দুর করতে প্রতি বছরই মেরামতের কাজ করা হয়। জনদূর্ভোগ লাঘবে ৬০ কিলোমিটার সড়কের কিছু কিছু অংশ মেরামতের জন্য এবার ৯০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।