বি এম আলাউদ্দীন, আশাশুনি থেকে: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আশাশুনির নদ নদীতে জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিতে নদ নদী গুলো উত্তাল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ৭ নং বিপদ সংকেত পেয়ে নদীতীরের মানুষ উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন তার চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৩০ কি.মি. ঝুঁকিপ‚র্ণ ক্ষতিগ্রস্ত জ্বরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো ইয়ানুর রহমান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান জানিয়েছেন, আমাদের উপজেলা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের জন্য ৭ নং বিপদ সংকেতের আওতায় পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কবার্তা প্রচার ও বিপদাপন্ন মানুষের পাশে কাজ করছে ২০২০ সিপিপি কর্মী।
জরুরী খাদ্য সহায়তা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ৫ ইউনিয়নে (খাজরা ১, আশাশুনি ১, শ্রীউলা ১, আনুলিয়া ২ ও প্রতাপনগর ৫) ১০ মে.টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মিলে মোট ১০৬ সাইক্লোন শেল্টার খোলা হয়েছে। দিনের বেলায় কেউ সাইক্লোন শেল্টারে না উঠলেও সন্ধ্যার পর থেকে অনেকে এসব শেল্টারে আসতে শুরু করেছেন। দুপুরের জোয়ারে নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেলেও কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলায় বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতাপনগরের কুড়িকাহনিয়া, রুইয়ায়বিল ও দৃষ্টিনন্দন গ্রামের ২ কি.মি. বেড়িবাঁধ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এসব বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ সহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও গোলাম রাব্বী হাসান বলেন, উপজেলার প্রায় ৫ কি. মি. বেড়িবাঁধ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে প্রতাপনগরের ২ কি.মি. বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। আপাতত জিও ও সিনথেটিকের বস্তা সরবরাহ এবং জরুরী ভিত্তিতে শ্রমিক দেয়া হয়েছে।
সিত্রাং এর প্রভাবে আশাশুনির নদীতে জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
পূর্ববর্তী পোস্ট