সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: পর্যটক ব্যাতি রেখে অন্যসব ধরনের বনজীবিদের সুন্দরবনে প্রবেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরিপত্র জারী করেছে সরকার। কিন্তু, থেমে নেই সুন্দরবনের মৎস্য ও কাঁকড়া আহারণ। পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বনরক্ষীদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় বন্ধ নির্দেশনা উপেক্ষা করে রমারমা চলছে সুন্দরবনের মৎস্য, রেনু পোনা ও কাঁকড়া আহারণ। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ইতি মধ্যে সরকার সুন্দরবনের নদী খালে এক শ্রেণির অসাধু চক্ররা বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে। বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করতে না পারায় বন অধিদপ্তর কর্তৃক সুন্দরবনে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান, কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম ও কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সাপ্তাহিক নৌকা প্রতি ০১ হাজার টাকা চুক্তিতে শতশত মাছ, কাঁকড়া পোনা আহারণকারীদের সুন্দরবনে প্রবেশ করিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে। গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায় পশ্চিম সুন্দরবনে বন বিভাগের সাথে গোপন চুক্তির বিনিময়ে উৎকোচ দিয়ে এক থেকে দেড় হাজার বনজীবি একনও সুন্দরবনের বিভিন্নখালে অবস্থান করছে। এর মধ্যে উল্যেখ যোগ্য চুনকুড়ি, আঠারোবেঁকী, কাচীকাটা, লতাবেঁকী, ইলশেমারী, হাতিভাঙ্গা, চালতেবাড়ে, কলাগাছী, দোবেঁকী, ফিরিঙ্গীয়া, ও পুষ্পকাটী এলাকায় অবাধে মাছ কাঁকড়া ও রেনুপোনা আহারণ করেছ বনজীবিরা। প্রত্যক্ষদর্শী সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছে, বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান, কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম ও কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম তাদের স্টেশনের ট্রলার দিয়ে প্রতিদির টহলে যেয়ে, এবং স্টেশনের নিয়োজিত দালালদের মাধ্যমে এই উৎকোচ গ্রহণ করছে। জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বন বিভাগের সাথে যোগ সাজসে সুন্দরবসের বিভিন্ন নদী খাল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য আহারণ করে শ্যামনগর উপজেলার কলবাড়ী, মনির ছিলে ও সোনার মোড়ের মৎস্য আড়োতে বিক্রি করছে প্রতিদিন শত শত মন মাছ। কাঁকড়া ও রেনু পোনা আহারণ করেও বিভিন্ন ডিপো ও বাজারে বিক্রয় করছে। কাজেই সরকারের নিষেধাজ্ঞা এই অসাধু বন কর্মকর্তাদের কারনে বাস্তবায়ন হলো না পশ্চিম সুন্দরবনে। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ০৩ স্টেশন কর্মকর্তার কাছে গতকাল মুঠোফনো এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে তারা গোটা বিষয়টি জানেন না বলে এড়িয়ে যান। এব্যপারে সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে সবে আপনার মুখে যাচাই করা হচ্ছে। প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুন্দরবনে প্রবেশে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও থেমে নেই মাছ শিকার
পূর্ববর্তী পোস্ট