জি,এম,নজরুল ইসলাম: শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানপাটে ও রাস্থা-ঘাটে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনের গতি রোধ করে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে চাঁদাবাজি। কিছুতেই কমছে না হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম। প্রায়ই উপজেলার কোনো না কোনো এলাকায় চোখে পড়ছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। নতুন এই চাঁদাবাজি কারণে অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উপজেলার সচেতন মহল।
এদিকে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি থেকে নিস্তার নেই পথযাত্রীদের। আবার হাতির কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও। পথচারীদের কেউ কেউ হাতি আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। হাতির কারণে সৃষ্ট কৃত্রিম যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলাবাসী। রবিবার বিলা ১২টায় সরেজমিনে উপজেলার হরিনগর বাজার এলাকায় গিয়ে চোখে পড়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য। রাস্তার দু’পাশে থাকা দোকান ও বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা তুলছে। এমনকি রাস্তায় হাতি দিয়ে গাড়ি আটকে ও প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করে। চাঁদাবাজির এই দৌরাত্ম থেকে বাদ পড়ছে না ফুটপাতের সামান্য আয়ের ব্যবসায়ীরাও। এতে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ইজিবাইক চালক ইয়াসিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তায় মাঝে মধ্যেই হাতির চাঁদাবাজির কবলে পড়তে হয়। টাকা না দিতে চাইলে কিংবা যে পরিমান টাকা চাই সে পরিমাণ টাকা না দিলে হাতি গাড়ির সামনে থেকে সড়তে চাইনা। এমন কি সুড় দিয়ে আঘাত করে। বাজারের প্রতিটি দোকানে দোকানে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এমন দৃশ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে জসিম নামের একজন পথচারী বলেন, প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখছি। এটা তো এক ধরণের চাঁদাবাজি। এটা কি দেখার কেউ নেই। রাস্তা বন্ধ করে এরাতো এক ধরণের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। কেউ তাদের কিছু বলতে পারছে না। এটা কি মগের মুল্লুক নাকি?
হরিনগর বাজারের মুদি দোকানদার মফিজুর রহমান জানান, হাতি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে ক্রেতারা ভয়ে দোকানে ঢুকতে সাহস পায় না। বিড়ম্বনা এড়াতে দোকান মালিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়, যাতে হাতি তাড়াতাড়ি দোকানের সামনে থেকে চলে যায়।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে জন ভোগান্তি লাঘবে যথাযথ ব্যস্থা গ্রহনে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী এলাকবাসী।