জাতীয় ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত ৪০ বছরে ৬০ শতাংশ পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। এসময়ে বন্দরনগরীর ২০০টি পাহাড়ের মধ্যে ১২০টিরই বর্তমানে কোনো অস্তিত্ব নেই।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রামের পরিবেশ বিপর্যয় বন্ধ করতে উপযুক্ত পাহাড় সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা ও খাল-নদী রক্ষার দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম।
বক্তারা জানান, ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচটি থানা এলাকায় ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় পাহাড় ছিল। পরবর্তীকালে ৩২ বছরে মোট পাহাড়ের ৫৭ শতাংশ হিসেবে ১৮ দশমিক ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার পাহাড় কেটে ফেলা হয়। এসময়ে নগরীর বায়েজিদ, খুলশী, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি এবং পাহাড়তলী এলাকায় ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি পাহাড় আংশিক কাটা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম মহানগরী ও সীতাকুণ্ডের মধ্যস্থলে জঙ্গল সলিমপুর ও আলী নগরে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে ভূমিদস্যুরা প্লট বাণিজ্য করছে। দেশের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত আসামিদের জড়ো করে সন্ত্রাসী জনপদ বানানো হয়েছে। অবশেষে প্রশাসন এসব পাহাড় কাটা বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। পাহাড় থেকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া এসব পহাড়ে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষার দাবি জানান বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান। ফোরামের সভাপতি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, হালদা গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.মঞ্জুরুল কিবরিয়া ও ফোরামের উপদেষ্টা সাংবাদিক আবুল মনসুর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
২০০ পাহাড়ের ১২০টিই ৪০ বছরে বিলুপ্ত
পূর্ববর্তী পোস্ট