রুবেল হোসেন: পর্নোগ্রাফী আইনের মামলায় আটক হওয়া সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলোজি বিভাগের প্রভাষক ডাঃ ইকবাল মাহমুদ পিয়ালকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ডাঃ পিয়ালকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত রবিবার তার আরেক সহকর্মী ডাঃ সুমাইয়া মরিয়মের দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। ডাঃ পিয়াল শহরের আমতলা কাটিয়া উত্তরপাড়ার কামালউদ্দীনের পুত্র।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার ও ঘটনা সুত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর এলাকার মোঃ মশিয়ার রহমানের কন্যা ডাঃ সুমাইয়া মরিয়মের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ডাঃ পিয়ালের। একপর্যায়ে প্রেমে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে ডাঃ পিয়াল অপর একজন ডাক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ডাঃ সুমাইয়াও আলিমুর রাজি ওরফে শফিক নামক এক ডাক্তারের সাথে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। উভয় চিকিৎসক দম্পত্তির দাম্পত্য জীবন স্বাচ্ছন্দে চললেও ২০১৮ সালে পুনরায় পুরাতন প্রেমের টানে পরকীয়ায় লিপ্ত হন ডাঃ পিয়াল ও ডাঃ সুমাইয়া মরিয়ম। এসময় তাদের অন্তরঙ্গ ছবি মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেন ডাঃ পিয়াল। এসব ছবি তার কথা না শুনলে ডাঃ সুমাইয়ার স্বামী ডাঃ আলিমুর রাজির কাছে পাঠানোর হুমকী দিতে থাকেন ডাঃ পিয়াল। এক পর্যায়ে তিনি উক্ত অন্তরঙ্গ ছবি ডাঃ সুমাইয়ার স্বামী নারায়নগঞ্জে কর্মরত ডাঃ আলিমুরের কাছে প্রেরণ করেন ডাঃ পিয়াল। বিষয়টি নিয়ে ডাঃ সুমাইয়ার সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হলে তিনি ডাঃ পিয়ালের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১), ৮(২) ও ৮(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ডাঃ পিয়ালকে আটক করে থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই পিন্টুলাল দাশ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।