ছিনতাইকারীদের খোঁজে মহাজনপুর গ্রামে জনতার হানা;
অপরাধীরা গাঁ ডাকা দিয়েছে;
আইউব আলী, শ্যামনগর থেকে: অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পেশাদার ছিনতাইকারী চক্র সহোদর রফিকুল ও শফিকুলের নিকট থেকে দেড়লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছে। ১৩ অগাস্ট সকাল ছয়টায় আশাশুনি থানার বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুর গ্রামের পাকা সড়কের ওপর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার সুত্রে ও সহোদর ভিকটিম শ্যামনগর থানার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের গফুরের পুুত্র রফিকুল ইসলাম (সেনাবাহীনি থেকে অবসর প্রাপ্ত করপোরাল) এবং মুদী ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব পরিচিত জনৈক ব্যক্তি তাদের কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি করবে মর্মে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। ০১৭২৪ ২৫০৭৩৮ নম্বর মেবাইল থেকে শফিকুলের ০১৭৩৯ ৬৫১৯৪৬ নম্বর মোবাইল ফোনে পূর্ব পরিচয়ের সুত্রে সাম্প্রতিককালে কথাবার্তা বলতো। সে একটি পুরাতন মটর সাইকেল ক্রয় করতে চায় এমন কথা শুনে প্রতারক চক্র বলে তাদের একটি প্রায় নতুন মটর সাইকেল আছে। সেটি সে বিক্রি করতে চায়। এমন প্রস্তাবে রাজী হয়ে রফিকুল ও শফিকুল দু’ভাই ১৩ অগাস্ট বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুর গ্রামের পাকা রাস্তায় পৌছালে ছিনতাইকারী চক্র দু’ভাইয়ের মটরসাইকেলের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে। এ সময় ৪/৫ জন ব্যাক্তি তাদের কাছে থাকা দেড়লাখ টাকা ছিনতাই করে নেয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে আসে। তারা ভিকটিম দ্বয়কে সাথে নিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের আস্তানা আশাশুনি থানার কূল্যা ইউনিয়নের মহাজনপুর গ্রামে যায়। তারা সন্দেহজনক ভাবে একাধিক ছিনতাইকারির বাড়ীতেও যায়। ভিকটিমদ্বয়ের বক্তব্য তারা দেখলে দু’জনকে চিনতে পারবে। একজন ছিনতাইকারী নাকের গোড়ায় তিলও আছে বলে তারা জানায়।
এদিকে অস্তের মুখে টাকা ছিনতাই করা সন্ত্রাসীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। এজাহারে দেয়া সাক্ষীরা ঘটনার দিন সকালে ঘটনাস্থলে মহাজনপুর দু’জন চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে প্রত্যক্ষ করে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেছেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।