আহাদুর রহমান: পেশায় দফাদার। কিন্তু সচিব না থাকলে সাচিবিক কাজকর্মও করেন তিনি। এছাড়াও আরও একটি কালো পরিচয় আছে তার। তিনি সাধারণ জনগনকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করেন। দফাদার শাহাদাৎ হোসেনের দৌরাত্বে আটুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ঘুম হারাম।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১০ নং আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার শাহাদাৎ হোসেন। দফাদার ও গ্রাম পুলিশদের কাজ হলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পাহারা দেওয়া, অপরাধ দমন, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সহায়তা করা, অপরাধ ঘটার সম্ভানা থাকলে তা থানায় অবহিত করা। এই শেষ অংশটি নিয়েই তার যত দৌড়ঝাঁপ। এলাকার নিরীহ মানুষদের কৌশলে জিম্মি করে তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। কাউকে পেন্ডিং মামলায় বা মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিনি টাকা আদায় করে থাকেন। এছাড়াও পরিষদে কোন শালিষী বৈঠক থাকলে বাদী বা বিবাদী উভয় পক্ষকেই দফাদারকে দিতে হয় নগদ ৫০ বা ২০০ টাকা করে। না হলে তিনি আবার গোস্বা করেন।
এ ছাড়াও অন্য ইউনিয়নের মানুষ এ ইউনিয়নে কাজে আসলে তাদের হয়রানিও করেন শাহাদাৎ হোসেন। আরও আছে। বিদ্যুৎ সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার জন্য যোগাযোগের নামে তিনি এলাকায় টাকা নিয়ে থাকেন। ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেকর্ড, ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট, যে কোন ধরনের নোটিশ পাওয়ার জন্য শাহাদাতকে টাকা দেওয়া লাগে। যদিও এগুলো তার কাজ নয়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে ভয়ে কথা বলতে চাননি কেউ। কিন্তু নাম না প্রকাশ করার শর্তে উপরোক্ত তথ্যগুলো তারা দেন।
এ বিষয়ে আটুলিয়া ইউনিয়নের দফাদার শাহাদাৎ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেট অথবা নোটিশের পাওয়ার ক্ষেত্রে আমি টাকা নিব কেন? ওগুলো আমার কাজ না। তবে যদি চেয়ারম্যান মেম্বার না থাকে কম্পিউটার অপারেটরকে দেওয়ার জন্য কিছু টাকা নিয়ে থাকি। পেন্ডিং মামলায় বা মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি অস্বীকার করেন তিনি।