নিজস্ব প্রতিবেদক : চেয়ারম্যান আ.ব.ম মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের তিন ইউপি সদস্য। দফায় দফায় তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকা তিন ইউপি সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ইউপি সদস্যরা হলেন, বুধহাটা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান, ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য হাফেজ মো. রবিউল ইসলাম ও সংরক্ষিত আসন ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগে এই তিন ইউপি সদস্য জানান, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ.ব.ম মোসাদ্দেক হোসেন সরকারি চাউল বিতরণে অনিয়ম, সরকারি কর্মসূচীর প্রকল্পে অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আতœসাৎ, মেম্বরদের ভাতার টাকা আতœসাৎ করেছেন। চেয়ারম্যানের এসব কর্মকা-ের কারণে গত ৫ আগষ্ট আমরা তিন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাটি স্থানীয় দৈনিক সাতনদী পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের ও সংবাদ প্রকাশের কারণে গত ১১ আগষ্ট বুধহাটা বাজারে ইউপি সদস্য হাফেজ মো. রবিউল ইসলামকে মারপিট করতে উদ্যত হয়ে অপমান অপদস্ত করে চেয়ারম্যানের ক্যাডার সন্ত্রাসী সাদ্দাম, ইজদান ও হাতেম। হুমকি দিয়ে বলে, বুধহাটা বাজারে যেন কখনো না দেখি। বাজারে আসলে তোর হাত পা ভেঙ্গে দেব।
অভিযোগে আরও জানানো হয়, (১৯ আগষ্ট) সোমবার ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় শ্বেতপুর বটতলা মোড় এলাকায় দুপুরের দিকে আতর্কিতভাবে হামলা চালায় চেয়ারম্যানের ক্যাডার বুধহাটা এলাকার হাতেম সরদারের ছেলে ইমনসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন। মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে গায়ে হাত তুলে অপমান অপদস্ত করে। হুমকি দিয়ে বলে, তোর এত সাহস হল কি করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার। তোর জীবন শেষ করে দিবো, তোর বাড়ির লোকজনদেরও দেখে নেব। এসব বলে গালিগলাজ করে চলে যায়। ঘটনাগুলো সঙ্গে থাকা পাইথালি গ্রামের বিল্লাল হোসেন, শ্বেতপুর গ্রামের তাহের সানাসহ স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে ও শোনে। এই ঘটনা আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সালাম ও তদন্ত ওসি ইমারত হোসেনকে অবহিত করি।
৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য মমতাজ বেগমকে কিছুদিন পূর্বে চেয়ারম্যানের ক্যাডার সাদ্দাম হোসেন বুধহাটা ব্রাক অফিসে মারপিট করতে উদ্যত হয় ও গালিগালাজ করে। যা আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম হোসেনকে জানানো হলে তিনি মধ্যস্থতা করে দেন।
তিন ইউপি সদস্য জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে জানান, চেয়ারম্যানের ইন্দনে পরিকল্পিতভাবে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটছে। যে কোন সময় আমাদের উপর হামলা চালিয়ে জীবনহানির মত ঘটনা ঘটাতে পারে। আমাদের বাড়িতে অবৈধ কিছু রেখেও পরিকল্পিতভাবে মামলায় ফাঁসাতে পারে। আমাদের পরিবারও নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিনাতিপাত করছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে নেপথ্যে থাকা তার অনেক দূর্নীতির কাহিনী উন্মোচিত হবে।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্ণীতির অভিযোগ : ইউপি সদস্যের উপর দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা
পূর্ববর্তী পোস্ট