নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা চলছে বেশ জোরে শোরে। ইতোমধ্যেই দোয়া চেয়ে পোষ্টারিং ও বিলবোর্ড টানানোর মাধ্যমে অধিকাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থীই তাদের প্রার্থীতার জানান দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত যে কয়জন সম্ভাব্য প্রার্থীর দেখা মিলেছে তাদের সবাই আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী। উপজেলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিয়নটিতে আগামী ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য দলের কোন সম্ভাব্য প্রার্থীর প্রচার প্রচারনা এখনো চোখে পড়েনি। উপজেলা সদরে অবস্থিত এ ইউনিয়নটিতে আওয়ামী লীগ দলীয় অর্ধডজনেরও অধিক সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছে। এদের অধিকাংশই প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়ন, পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, নির্বাচনী সভা করে চলেছেন। পূজা-পার্বন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, জানাজা নামাজ, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ অনুরুপ বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের মাধ্যমে ভোটারদের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। ইউনিয়নবাসীর দৃষ্টি আকর্ষন আর নিজের পক্ষে অধিক জনসমর্থন প্রদর্শন করতে মাঝে মধ্যে কোন কোন প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেল বহরযোগে জনসংযোগ করতেও দেখা যাচ্ছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন চায়ের স্টল, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আর রাজনীতি সচেতন মানুষের মুখে মুখেও চলছে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা। কখনো কখনো আবার চায়ের আড্ডায় বা রাজনৈতিক বচসায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভালো-মন্দ দিক, জনসেবা, যোগ্যতার মাপকাঠি আর দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির সম্ভাব্যতা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। কখনোবা আবার কোন কোন প্রার্থীর নানারকম দোষ-গুণ নিয়েও চলছে সুক্ষ বিচার বিশ্লেষণ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আগামী ইউপি নির্বাচনে আশাশুনি সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের ৮ জন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। তার হলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান স,ম সেলিম রেজা মিলন, জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এন এম বি রাশেদ সরোয়ার শেলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা শ্রমিক লীগের বর্তমান সভাপতি ঢালী সামছুল আলম, আশাশুনি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম হোসেনুজ্জামান হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম সাহেব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবীর সুমন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব সরকার।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, আশাশুনি সদরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সিনিয়র সহ সভাপতি এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু তার আইন পেশার পাশাপাশি আশাশুনি আওয়ামী লীগের একটি বৃহৎ অংশের নের্তৃত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে সদর ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, আগামী ইউপি নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে তিনি নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন এবং প্রয়োজনীয় কাজও করছেন। ইউনিয়নের অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় তিনি সদর ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, মসজিদ-মন্দির সংস্কার/নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করা, গরীব-দুঃস্থদের বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করা সহ ইউনিয়নের নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। মানুষের উপকার করতে না পারলেও তিনি কখনো কারো ক্ষতি করেছেন বলে শোনা যায় না। বিগত উপজেলা নির্বাচনে সদর ইউনিয়ন সহ গোটা উপজেলা ব্যাপি তার পক্ষে যে বিপুল জনসমর্থন লক্ষ্য করা গিয়েছিল তাতে করে ইউনিয়নবাসীর কাছে তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবেই বিবেচিত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান স, ম সেলিম রেজা মিলন পরিষদের বর্তমান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় ব্যাপক কাজ করে চলেছেন। তিনিও চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে ইউনিয়নের রাস্তাঘাট, কালভার্ট, মসজিদ-মন্দির সংস্কার/নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করা, গরীব-দুঃস্থদের বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করা সহ ইউনিয়নের নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছেন। সাংগঠনিকভাবেও তার যথেষ্ঠ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। একজন ভালো মানুষ হিসেবেও তার সুখ্যাতি রয়েছে। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে তার সেই “চশমা মার্কার হবে জয় ও বুবু গো, মিলন ভাইয়ের হবে জয়” নির্বাচনী গান সকলের মন কেড়েছিল। প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। এবারও তিনি নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
ইউনিয়নের অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, তার দ্বারাও কেউ প্রতারিত বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে শোনা যায় না। পারিবারিক ঐতিহ্য, ভালো মানুষের তকমা আর দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনিও একজন যোগ্য প্রার্থী।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এন এম বি রাশেদ সরোয়ার শেলীও সম্প্রতি পোষ্টারিং এর মাধ্যমে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তার প্রার্থীতার জানান দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। উপজেলা আওয়ামী লীগেও তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত দিনে তিনি বিভিন্ন স্তরের কয়েকটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তিনি একবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বিজয়ী হতে না পারলেও সেবার সদর ইউনিয়নে তিনি তার ফুটবল প্রতীকে প্রচুর ভোট পেয়েছিলেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত এই প্রার্থীরও যথেষ্ঠ গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা শ্রমিক লীগের বর্তমান সভাপতি ঢালী সামছুল আলম আসন্ন ইউপি নির্বাচনে একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী। এর আগেও তিনি ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক মারপ্যাচে বিজয়ী হতে না পারলেও ইউনিয়নবাসীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। সাবেক এই ছাত্র নেতা মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেন সবসময়। বিশেষ করে কারো মৃতুত্যে শোক সন্তপ্ত পরিবারের পাশে সবার আগে ছুটে যান তিনি। একজন শ্রমিক নেতা হিসেবে ইউনিয়নে তার অনেক কর্মী সমর্থক রয়েছে। ভোটারদের কাছে টানতে প্রায় প্রতিদিনই তিনি গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা করে চলেছেন। এছাড়া বিলবোর্ড স্থাপন ও ফেসবুক প্রচারনার মাধ্যমে তিনি সরব রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। তার ছোট ভাই উপজেলা প্রজন্মলীগের সভাপতি ঢালী মুর্শিদও তার পক্ষে নির্বাচনী কাজ করছেন বেশ জোরে শোরে। স্থানীয়দের অভিমত, নির্বাচনী মাঠে ঢালী সামছুল আলম কারো থেকে কম নয়।
আশাশুনি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম হোসেনুজ্জামান হোসেন আসন্ন আশাশুনি সদর ইউপি নির্বাচনে এবার নতুন প্রার্থী। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচনী মাঠে বেশ জোরে শোরেই কাজ করছেন। গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা, বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও ক্রীড়ানুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করছেন। তরুণ, উদীয়মান ও আশাশুনি সদরের সম্ভাবনাময় এই স্বেচ্ছাসেবী নেতা এলাকাবাসীর কাছে ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। পারিবারিকভাবে তিনিও আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত। একজন সদালপি ও পরোপকারী ব্যক্তি হিসেবে তার যথেষ্ঠ সুখ্যাতি রয়েছে। তার রয়েছে বিশাল বড় বন্ধু মহল। তারাই তার নির্বাচনের প্রধান কর্মী বাহিনী। যুবসমাজের বড় একটি অংশ তার পক্ষ হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে।
এলাকাবাসীর অভিমত, পারিবারিক বা রাজনৈতিকভাবে এই প্রার্থীর যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। তার গণসংযোগ ও মতবিনিমিয় সভাগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক সমাগম হচ্ছে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য হোসেন মাঠে নামায় অন্যান্য প্রার্থীদের ভোটের হিসেব অনেকটাই পাল্টে গেছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস এম সাহেব আলী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পোষ্টারিং, বিলবোর্ড স্থাপন সহ গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা করে চলেছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করছেন। একটি সংগঠনের প্রধান হিসেবে তারও যথেষ্ঠ কর্মী বাহিনী রয়েছে। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন তিনি। তাই চেয়ারম্যান পদে তার প্রার্থী হওয়াটা অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছে না কেউ। নির্বাচনী মাঠে কাজ করার পাশাপাশি গরীব- দুঃখী মেহনতি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন তিনি।
এলাকাবাসীর অভিমত, মাঠের আন্দোলন সংগ্রামের এই নেতা অত্যন্ত পরিশ্রম করে আজকের এই অবস্থানে এসেছেন। এলাকায় তারও অনেক কর্মী সমর্থক রয়েছে। তাই নির্বাচনী মাঠে তিনিও একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম হুমায়ুন কবীর সুমন আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অপর একজন নতুন প্রার্থী। সাবেক এই ছাত্র নেতারও যথেষ্ঠ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বিশেষ করে তার পিতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহজাহান আলীর একটা প্রভাব ও গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে সদর ইউনিয়নবাসী সহ গোট উপজেলাবাসীর কাছে। তাছাড়া পারিবারিকভাবে তার চাচা এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু’র বিকল্প প্রার্থী হিসেবে তিনি মাঠে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ছাত্র ও যুব সমাজের কাছে তার একটা আলাদা গ্রহনযোগ্যতাও রয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি থাকাকালীন সময় থেকেই সদর ইউনিয়ন সহ গোটা উপজেলায় তার একটা পরিচিতি ও জনসমর্থন তৈরী হয়ে আছে। তাই তাকেও উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব সরকার সদর ইউপি নির্বাচনে এবার নতুন প্রার্থী। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় থাকা, দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহন করা এবং তার স্ত্রী কল্যাণী সরকার সাবেক ইউপি সদস্য থাকার সুবাদে ইউনিয়ন ব্যাপি তার একটা পরিচিতি আছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী মাঠে কাজ শুরু করেছেন তিনি। এলাকাবাসীর অভিমত, তিনি প্রার্থী হলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদেরও একটা সমর্থন তার দিকে থাকতে পারে। তাছাড়া সাবেক এই প্রধান শিক্ষক প্রার্থী হলে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের ভোট ব্যাংকেই তার পক্ষে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
আসন্ন নির্বাচন বিষয়ে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্যক্তি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আসন্ন ইউপি নির্বাচনের লক্ষ্যে মাঠে যে সকল প্রার্থী কাজ করছেন তাদের সবাই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এখানে বিএপি, জাতীয় পার্টি বা জামায়াত সমর্থিত কোন প্রার্থীর প্রচার প্রচারনা এখনো দেখা যায়নি। দলীয় মনোনয়ন না পেলে অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। অনেক প্রার্থী সরাসরিও বলছেন যে, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্যই তারা চেষ্টা করছেন, মনোনয়ন না পেলে শেষ পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন না। আরও জানা গেছে যে, আওয়ামী লীগের যে কয়জন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে রয়েছেন তাদের দু’একজন দলীয় মনোনয়ন নাও চাইতে পারেন। সেক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন যেই পাক না কেন তিনি/ তারা নির্বাচনী মাঠে থাকবেনই। আবার অনেকেই বলছেন আসন্ন নির্বাচন যদি দলীয় প্রতীকেই হয় এবং বিগত দিনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ারা যদি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন তাহলে সিনিয়র অনেক নেতাকেই সাইডবেঞ্চে থাকা লাগতে পারে। আর এই সুযোগটা নেয়ার জন্যই সিনিয়র আরও কয়েকজন কৌশল হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। তারা এমনটা হিসেব করছেন যে বর্তমানে আওয়ামী লীগ যেভাবে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন তাতে সিনিয়র দু’তিন জন যদি মনোনয়ন বঞ্চিত হন তাহলে দ্বিতীয় পর্যায়ের সিনিয়র ব্যক্তি হিসেবে তাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে পারে দল। তবে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় থাকা দু’একজন প্রার্থী আবার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে নিজের অনুসারী বা কাছের লোককে নির্বাচনী মাঠে নামিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে কে কে থাকেন।