বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি থেকে: আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পি এন এফ ধনীরাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ পদে নিয়োগ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এরমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ ও অভিযোগ শুরু করেছে।
সরেজমিনে গেলে আবেদনকারী ডলি রানী মন্ডল, শুভেন্দু মন্ডল, শিখা রানী ঢালি, জয়ন্ত মন্ডল ও এলাকার অসংখ্য ব্যক্তি জানান, বিগত ১৫ নভেম্বর বিধি মোতাবেক উল্লেখিত বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন কর্মী, আয়া, অফিস সহায়ক, সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সকল পদে ৩১ জন প্রার্থী আবেদন করেন। দীর্ঘ যাচাই বাছাইয়ের পর সকলের আবেদন বৈধ ঘোষণা করা হয়। সে মোতাবেক প্রধান শিক্ষক বিরাজ মোহন রায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এদিকে এলাকার স্বার্থনীশি মহল নিয়ম বহির্ভূত একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে নিয়োগ বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাদের অভিযোগে বলা হয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহনাওয়াজ ডালিম কিছু প্রার্থীর নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করেছে।
এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, টানা তৃতীয় বারের মতো খাজরা ইউনিয়নের মানুষ আমাকে বিপল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করে এসেছে। পক্ষ-বিপক্ষের মানুষতো ইউনিয়নে থাকবে, আমার প্রতিপক্ষ গন শুরু থেকে অদ্যাবধি একের পর এক মিথ্যা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এটা নতুন কিছু না। কে কি বলল এটা আমার কোন বিষয় না, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ফেয়ার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের চাকরি হবে। তিনি আরো বলেন, চাকরির বিষয়টা আমার একার ব্যাপার নয়। পাঁচজনের সমন্বয় বোর্ড গঠন করা হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ানুর রহমান বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় একটি চিঠি আমার দপ্তরে এসেছে সম্ভবত বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলি যখন নিয়োগ হয়। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী রেওয়াজ আছে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে কি কেউ প্রমাণ করতে পেরেছে ? মনে হয় কেউ পারেনি। সকলেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার বিদ্যালয় অধিকাংশ চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির জন্য এমএ পাস, বিএ পাস মহিলা এবং পুরুষ আবেদন করেছে। এমন ইতিহাস আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই।
আশাশুনির ধনীরাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বন্ধের ভিত্তিহীন অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট