সচ্চিদানন্দদে সদয়: আশাশুনির দাদন ব্যবসায়ীরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।শতকরা ২০ থেকে ৩০ টাকা হারে তারা গরীব অসহায় মানুষকে সুদের টাকা দিচ্ছে।সাধারন মানুষ হাতের কাছে সহজেই এ ভাবে টাকা পাওয়ায় এদের কাজ থেকে সুদে টাকা নিচ্ছে। সময়মতো অনেকে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তাদের উপর শুরু হবে অমানবিক নির্যতন।আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা,কুল্যা,মহাজনপুর,পাইথলী,আশাশুনি সদর,কালিবাড়ী,বড়দল ,খাজরা,আনুলিয়া প্রভৃতি এলাকায় কয়েক শতাধিক সুদখোর বা দাদন ব্যবসায়ী রয়েছে। আশাশুনির বুধহাটা ও পাইথলী বাজারে প্রকাশ্যে দোকান খুলে এ সুদের ব্যবসা করা হচ্ছে।ভাব টা এমন মনে হয় যে তারা বৈধ ব্যবসা করছে এবং তাদের কে কেউ কিছু করতে পারবে না।এসব দাদন ব্যবসায়ের অন্তরালে সমাজের উঁচু আসনে বসে মুখশোর অন্তরালে নির্বিঘেœ এ দাদন ব্যবসা করে যাচ্ছে অনেকে ।এ সকল দাদন ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে অনেকে সহায় সম্পদ হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে।অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি উচ্চ সুদে সুদখোর দের কাছ থেকে সুদ নিয়ে ডাঃ এনামুল হক আত্মহত্যা করেন । আশাশুনির দাদন ব্যবসায়ীরা সহজেই সাধারন মানুষকে সুদে টাকা দিয়ে দেয়।কিন্তু সময় মত তাদের সুদের টাকা দিতে না পারলে নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য জেল াপ্রসাশক কঠোর হুশায়ারি উচ্চরন করলে কয়েকদিনের জন্য সুদখোর দের কার্যকলাপ কিছু টা বন্ধ ছিল। কিন্তু পুনরায় আবার সেই আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারি সংস্থা কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সুদ ব্যবসায়িরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।সামনে জমি চাষের সময় এ সময় সবারই টাকার প্রয়োজন তাই আশাশুনির বুধহাটা ও পাইথলীর সুদখোররা গরীর অসহায় সাধারন মানুষদের টাকা দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।তারা বর্তমানে এক হাজার টাকায় প্রতি সপ্তায় ৭০ টাকা হারে সুদের টাকা নিচ্ছে।গত কযেকদিন ধরে এসকল সুদ খোরদের আসে পাশে সাধারন মানুষের ব্যাপক ভীড় লক্ষ্যকরা যাচ্ছে।গরীব অসহায় সাধারন মানুষদের বাঁচাতে এসব দাদন ব্যবসায়ীদের দাদন ব্যবসা বন্ধ করার জন্য পুলিশ সুপার সহ সংষিøষ্ট কতৃপক্ষের একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
আশাশুনির দাদন ব্যবসায়ীরা সক্রিয়, দেখার কেউ নেই?
পূর্ববর্তী পোস্ট