নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি বেশকিছু মানুষের ম্যাসেন্জারে মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ও সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দুদক পরিচালক জালাল সাইফুর রহমান তার ছোট ভগ্নিপতি পরিচয়ে করোনা প্রতিরোধে টোটকার বিষয়ে ম্যাসেজ দেওয়া হয়। ম্যাসেজটি নিচে হবুহু তুলে ধরা হল-
আমি মোঃ সাইদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী, বাপাউবো, ঢাকা। আমার ছোট ভগ্নীপতি জালাল সাইফুর রহমান, পরিচালক ,দুদক; উপসচিব ,২২ তম বিসিএস ;সম্প্রতি মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন! ছোট ভগ্নিপতি টি মহামারী করোনায় হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া এবং তৎপরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পরিবার নিয়ে আমি মহা সংকটে পড়ে যাই!কারন পরিবারের প্রায় সকল সদস্য নিয়ে একই বিল্ডিংএ বসবাস রত থাকায় জালাল সাইফুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়! তার থেকে আমরা সবাই করোনায় সংক্রামিত হয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারি ভেবে দিশাহারা হয়ে যাই! এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহার সাহায্য প্রার্থনা করি এবং ইন্টারনেট সহ ফেসবুক এবং অন্যান্য বিষয়ে দুনিয়াব্যাপী সার্চ করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয় নিয়ে বিভিন্নজনের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করি। একটা ঘরোয়া চিকিৎসা আমার মনের মধ্যে আশার সঞ্চার করে যে, কলেরা রোগ যেমন স্যালাইন খেলেই ভালো হয়ে যায় তেমনি এই টোটকা চিকিৎসাই হতে পারে করোনা ভাইরাস এর জন্য একটা প্রতিকার-প্রতিরোধ! সব সময় গরম পানি খাওয়া এবং সকল ঠান্ডা খাদ্য পরিহার করা, এমন কি নরমাল পানী ও খাওয়া যাবে না! দ্বিতীয়তঃ হল গরম পানির ভাপ নাকের মধ্য দিয়ে টেনে লান্সের মধ্যে প্রবেশ করানো, যাতে সেখানে কোন করোনা ভাইরাসের জীবাণু ঢুকে থাকলে তা নিঃশেষ হয়ে যায় বা নিস্তেজ হয়ে যায়! গরম পানির ভাপ নিতে হবে ১০ মিনিট প্রতিবারে ,দিনে চারবার ,মোট পাঁচ দিন। গরম পানির ভাপ নেওয়ার বিষয়ে, পানি ফুটিয়ে তা একটা বাটিতে ঢেলে একটা রুমাল অথবা এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় বাটিতে রাখা ফুটন্ত পানির মধ্যে ডুবাতে হবে। তারপর তা উঠাইয়ে গরম সহ্য হয় মতো অবস্থায় এলে রুমাল অথবা কাপড়ের টুকরা থেকে চিপে পানি ফেলে দিতে হবে তারপর সহ্য হয় মত অবস্থায় নাকের মধ্যে ধরে জোরে শ্বাস টানতে হবে এবং মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে। ঠান্ডা হলে পুনরায় তা গরম পানির মধ্যে ভিজাতে হবে এবং প্রথমবারের মত নাক দিয়ে শ্বাস টেনে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে দিতে হবে ।এভাবে প্রতিবার সর্বমোট ১০ মিনিট করে সময় নিয়ে ভাব নেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। আমি আমার পরিবারের মধ্যে পহেলা এপ্রিল হতে ৫ই এপ্রিল পর্যন্ত মোট কমপক্ষে ২০ বার নাকের মধ্যে ভাব নেওয়ার এই ঘরোয়া অর্থাৎ টোটকা চিকিৎসা করাতে থাকলাম। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পরপর হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে নামাজ পড়ে বাসার মধ্যেই অবস্থান করতে থাকলাম। পরবর্তীতে আই ই ডি সি আর কর্তৃক করোনা টেস্টের রেজাল্টে দেখা গেল আমরা যারা এই পদ্ধতি ফলো করেছি তাদের প্রত্যেকের রেজাল্ট এসেছে নেগেটিভ আর যারা করি নাই তাদের মধ্যে চারজনের করোনা টেস্টে এসেছে পজিটিভ! পরবর্তীতে একই পদ্ধতিতে আক্রান্ত চারজন সহ আমাদের সকলের ঘরোয়া চিকিৎসা চলছে। আজকে চলছে পঞ্চম দিন। এরমধ্যে এখনো কারো কোন করোনার সিমটম দেখা যায় নাই ইনশাআল্লাহ ! আল্লাহর উপর ভরসা করে আমি বলতে চাই এই ঘরোয়া অর্থাৎ টোটকা চিকিৎসা যদি আমরা সকলে একসাথে করি তাহলে বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস মুক্ত করা যাবে ইনশাল্লাহ! তাই আসুন আমরা সকলে মিলে একযোগে -একসাথে এই ঘরোয়া চিকিৎসা চালাই এবং আমাদের দেশকে করোনা ভাইরাস মুক্ত করি! এভাবে আমরা পুরো পৃথিবীটাকেই করোনা মুক্ত করি! আমার সবিনয় অনুরোধ থাকলো অনুগ্রহপূর্বক সকলেই এই মেসেজটা শেয়ার করে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিন এবং অন্য সকলকেইএই মহামারী থেকে বাঁচার সুযোগ করে দিন।আল্লাহ আমাদের সহায় হোন! আল্লাহ হাফেজ!