কলারোয়া উপজেলা প্রতিবেদক: কলারোয়া উপজেলায় অবৈধ ইট ভাটার লাগামহীন পরিবেশ। ইট ভাটার
জন্য দিন দিন কমে যাচ্ছে চাষের জমি। কলারোয়ায় এক সময়ের চাষ উপযোগী মাঠ এখন ইট ভাটার দখলে। বেশির
ভাগ ভাটার নেই বৈধতার কাগজ। কেউ ক্ষমতার জোরে আবার কেউ মামা কাকার জোরে চালাচ্ছে ভাটা গুলো।
ইট ভাটার কাজ শুরু হয়েছে অল্প কদিনে। এর ভিতরে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে শত শত মন গাছের বড় বড় গুঁড়ি।
২৭ শে নভেম্বর রবিবার দুপুরে কলারোয়া উপজেলার কুশডাঙ্গা ইউনিয়নের কলাটুপি অবস্থিত এস এম ব্রিকসে গিয়ে দেখা গিয়েছে, গাছের বড় বড় গুড়ি (লগ) জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। জ্বালানি মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করছে শিশু শ্রমিক।
কলাটুপি এস এম ব্রিকসের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ম্যানেজারের রোষানলের শিকার হয় সাংবাদিকরা। সাংবাদিক কার্ড দেখতে চেয়ে ম্যানেজার সাংবাদিক দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং সাংবাদিক কার অনুমতি নিয়ে তার ভাটায় এসেছে জানতে চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। সাংবাদিকদের বের করে দেন এই ভাটার ম্যানেজার। কাঠ জ্বালানো হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, পারলে সংবাদ প্রকাশ করে দেখা। তাদের হাত নাকি অনেক উপরে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাটার মালিক এক জন ক্ষমতাধর ব্যক্তি । তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তার আর নিস্তার নেই। তাই এলাকার কেউ ভিডিও বক্তব্য দিতে নারাজ । তবে এই ভাটার বর্তমান মালিক হাজী আব্দুল মজিদ তার প্রভাবে কোন সাংবাদিক নাকি কোন সংবাদ প্রকাশ করতে পারে না। ৭ বছর ধরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে ভাটা, দেখার কেউ নেই।
পরিবেশের ক্ষতি গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়ার উপরে লক্ষ্য রেখে সরকার সকল ইটভাটায় কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তার পরেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাজী আব্দুল মজিদের মত কিছু ইটভাটা মালিক কাঠ ব্যবহার করছে। পরিবেশের কোন তোয়াক্কা তাদের নেই। শিশু শ্রম আইন তাদের হাতে যেন কিছুই না।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের কাছে এর ক্ষতিকর দিক গুলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাটার দূষিত বায়ুর নিষ্কাশনের ফলে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দিন দিন শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে। বায়ু গ্যাসের ফলে ফসল উৎপাদনে ও এর প্রভাব পড়ছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার দায়িত্বরত অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের কে জানান, এ বিষয়ে আজকেও আমরা উর্ধ্বতন মহলে কথা বলেছি। বর্তমানে নতুন করে ইটভাটা গড়ে ওঠার মতন কোনো সুযোগ নেই। যারা কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে তাদের তালিকা নিয়েই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুব শিগগিরই আমরা অভিযান পরিচালনা করব।
কলাটুপির এস এম ব্রিকসে জ্বালানো হচ্ছে কাঠ, তথ্য নিতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
পূর্ববর্তী পোস্ট