কুষ্টিয়া প্রতিবেদক: শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক শিক্ষাচর্চা,স্বাস্থ্যকর খাবার, ঝুঁকি হ্রাসসহ নানা উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে সততা স্টল বা সততার দোকান।যেখানে থাকবেনা কোনো দোকানী।পণ্যের গায়ে লেখা মূল্য দেখে পছন্দের পণ্য নিয়ে সততার বক্সে টাকা রাখবে শিক্ষার্থীরা।এতে একদিকে যেমন তাদের মাঝে নৈতিক শিক্ষা চর্চা হবে,অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের বাইরের নানা প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা পাবে শিক্ষার্থীরা।কিন্তু এই স্টলের কারনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সহ নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে অবস্থিত ছোট বড় মুদি দোকানসহ চটপটি ফুসকার দোকান গুলো। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সততা স্টোল গুলো উচ্ছেদ করার জন্য নানারূপ পায়তারা করছে।সততা স্টোলে চুরি,শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের সাথে বিরূপ আচরণ সহ নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে দোকানীরা।
তেমনই এক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলাধীন গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রায় চার মাস পূর্বেই গড়ে তোলা হয়েছে সততার স্টল।যেখানে রয়েছে কাগজ,কলম,চকলেট,কেক,বিস্কুট সহ প্রায় ১২ রকমের পণ্য।ঐ রুমেই থাকে বিদ্যালয়ে ব্যবহত ল্যাপটপ,প্রজেক্টর,ড্রামসেট সহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ও সরঞ্জামাদি। কিন্তুু সোমবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে শুধু সততা স্টলের মালামাল চুরি ও ভাংচুর করেছে।তবে সন্দেহের তীর ছুটেছে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা মুদি দোকানী আফাজ উদ্দিনের দিকে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ শ ম সরোয়ার জানান, কে বা কাহারা রাতে অফিস কক্ষের তালা ভেঙে সততার স্টলে চুরি ও ভাংচুর করেছে।তবে অফিস কক্ষে থাকা ল্যাপটপ,প্রজেক্টর সহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদি অক্ষত রয়েছে।তিনি আরো জানান,পূর্ব শত্রুতা করে বিদ্যালয় চত্ত্বরে থাকা দোকানী একাজ করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদ্যালয় চত্ত্বরের দোকানী আফাজ ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে জানান,স্থানীয় ছেলেপেলে শয়তানি করে একাজ করতে পারে।তিনি আরো জানান,বিদ্যালয়ে সততার স্টল গড়ে ওঠার আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হলেও বর্তমানে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,শত্রুতা করে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ একাজ করেছে। এঘটনায় থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করা হবে।