বিভাগীয় শহর খুলনায় স্থাপিত হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’। সোমবার (১৩ জলাই) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি জ্ঞাপনের পর অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (১৩ জুলাই) বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বিটিভিকে দেওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে সকল বিভাগীয় শহরে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে মর্মে সরকারের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সরকারের চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৭মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সচিবালয়ে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা ২০২০’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরি করতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিক্যাল কলেজসমূহের শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য।
তিনি আরও জানান, প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি এর আগে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইনসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনে মোট ৫৫টি ধারা হয়েছে। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধিমালা, প্রবিধানমালা ও সংবিধি প্রণয়নের বিধান রাখা হয়েছে।
ন্যাশনাল ডেস্ক:
পূর্ববর্তী পোস্ট