নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দাদপুর গ্রামে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে পরিবারটিকে নিজ ঘরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে প্রতিবেশিরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ২০০৪ সালে সন্ত্রাসীদের হাতে নিগৃহীত হয়ে দৃষ্টি শক্তি হারানো শফিকুল ইসলাম শফি। হামলাকারীরা তার মাথায় লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করায় তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে হাসপাতালটির নাম জানাতে ভয় পাচ্ছেন তারা। শফিকুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন সুলতানা ও ছেলে মেহেদি হাসান বিপ্লব সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে কান্নাজড়িতকন্ঠে এই অভিযোগ করেন। তারা বলেন প্রতিবেশি এনজিওকর্মী আশরাফুল আলম ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম তাদের বাবা সিরাজুল ইসলাম ও চাচা স্কুল শিক্ষক শামসুর রহমানের সহায়তায় তাদের বাড়ির পথ আটকে দিয়েছে। এতে তারা বাড়ি থেকে স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারছেন না।লিখিত অভিযোগে তারা আরও বলেন রোববার বেলা দেড়টার দিকে তাদের বাড়িতে মিস্ত্রীরা কাজ করছিলেন। এসময় আশরাফুল আলম ও সাইফুলের নেতৃত্বে কয়েকজন বহিরাগত শফিকুল ইসলামের বসতবাড়ির মধ্যে ঢুকে ভাংচুর করে লুটপাট করে। তারা শফিকুলের মেয়ে জেসমিন সুলতানাকে বাড়ির উঠানে কুলগাছে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে মারপিট করে। মারপিটের কবল থেকে রক্ষা পাননি শফিকুলের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমও। হামলাকারীরা তাদের টয়লেট ভাংচুর, গোখাদ্য বিচালি তছনছ করে লুটপাট, বিভিন্ন গাছ কেটে সাবাড় করা সহ চারপাশ ঘিরে ফেলে। তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলে। তাদের তান্ডবে বাড়িতে কর্মরত মিস্ত্রিরা তাদের সরঞ্জাম ফেলে প্রাণভয়ে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় এই রিপোর্ট লিখবার সময় জেসমিন ও তার ভাই জানান হামলাকারী প্রতিবেশি শিক্ষক হুমকি দিয়ে বলেছে ‘মামলা করে বাড়ি আসুক। মজা দেখিয়ে দেবো’। জেসমিন জানান এ বিষয়ে তারা পাটকেলঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। জেসমিন বলেন তার পিতার পরিবারের ওপর একই মহল বারবার হামলা করে আসছে। তারা আমাদের এই জমি ও বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে চায়। তিনি এর প্রতিকার দাবি করে বলেন ‘সমাজ ও আইন কি অন্ধ। আমাদের ওপর এতোসব নির্যাতনের পরও কিভাবে হামলাকারীরা মাথা উঁচু করে হুমকি দেয়’ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি এ বিষয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। তবে এনজিও কর্মী আশরাফুল আলম বলেন সব অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন আপনারা এসে দেখে যান।
তালায় প্রতিবন্ধী পরিবারে হামলা, ভাংচুর, মারপিটের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট