তালা প্রতিনিধি: ভাগ্নির প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি মেয়ের মামা, তাই বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দিয়েছেন ছেলে পক্ষের পরিবারের ঘাড়ে। সেই মিথ্যা অপহরণ মামলায় আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আশাশুনির উপজেলার এক দিন মজুর পরিবার। অপরদিকে বর্তমানে পিত্রালয়ে অবস্থানরত কথিত অপহৃতা বধু সোনিয়া জানান, মামলার কাহিনী তিনি জানেন না ,তবে দীর্ঘদিন বরিশালের খালুর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন। জানাযায়, তালা উপজেলার শুকদেব পুর গ্রামের সহিদুল ইসলামের মেয়ে সোনিয়া খাতুন (১৯) এর সহিত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আশাশুনী উপজেলার বুধহাটা গ্রামের মতলেব হোসেনের ছেলে আইয়ুব আলীর (২২) সাথে।দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে বিগত ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর সাতক্ষীরা আদালতে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। নোটারী পাবলিকের বিয়েতে কন্যার পিতা শহিদুল ইসলাম নিজেই ২ নং ও মামা বাবলুর রহমান ৩ নং স্বাক্ষী হন। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস যেতেই বেঁকে বসেন সোনিয়ার মামা বাবলু। তার ভাগ্নেকে অপহরনের অভিযোগে ১৩ ফেব্রয়ারী ২০১৯ সালে আদালতে একটি মামলা রুজু করেন। পরবর্তীতে ১ মাস ২০দিন পর সোনিয়ার স্বামী আইয়ুব আলীকে বাদ দিয়ে শশুর মতলেব গাজী , শাাশড়ী তহমিনা বেগম ও প্রতিবেশী রুহুল আমিন সহ ৩ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা করে রুজু করেন। মামলা নং -সিআরপি ১৩/১৯। তারিখ-০৪-০৩-৩১৯। কথিত অপহরণ মামলায় বর্তমনে আসামীরা বাড়ী ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়ালেও বহাল তবিয়তে সোনিয়া তার স্বামী আইয়ুব আলীকে নিয়ে বাবার বাড়ী অবস্থান করছে। সরেজমিন তালার শুকদেবপুরে গিয়ে আইয়ুব আলী সহ সোনিয়াকে পাওয়া যায়, এসময় সোনিয়া জানায়,তাকে কেউ অপহরণ করেনি, ৩ মাস আগে তাকে বরিশালে তার খালু কবির হোসেনের বাড়ীতে রেখে আসে পিতা সহিদুল ইসলাম। সপ্তাহ খানেক আগে পিত্রালয়ে ফিরে স্বামীর সাথেই অবস্থান করছে সোনিয়া। সে আরও জানায়, মামলার ব্যাপারে সে কিছুই জানে না। ভুক্তভোগী দিন মজুর পরিবার বিষয়েিত প্রশাসনের উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।