নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, এসিল্যান্ড ও সাংবাদিক সহ ৮ ইউপি চেয়ারম্যানকে ১৪ দিনের হোম করেন্টাইনে থাকার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আগামী ৭ দিনের জন্য সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ৭ দিন পর্যবেক্ষণে থাকার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ থাকে যে গত ২৫ জুন ঈশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শোকর আলীর গলায় ব্যাথা অনুভব হলে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন। এর পরে ২৮ জুন উপজেলা কমিটির এক জরুরী সভায় এ্যাডভোকেট শোকর আলী উপজেলা চেয়ারম্যান এসিল্যান্ড সহ ৮ ইউপি চেয়ারম্যান অংশ গ্রহন করেন। পর দিন ২৯ জুন সকাল ১০টায় রিপোর্ট আসে এ্যাডভোকেট শোকর আলী করোনায় আক্রান্ত। সে কারনে ২৫ শে জুন জরুরী সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে চিহ্নিত করে হোম করেইনন্টিনে থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
৮ ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্য রয়েছেন এ্যাডভোকেট শোকর আলীসহ উপস্থিত ছিলেন গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি,এম, মাসুদ আলম, পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাভোকেট আতাউর রহমান, বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, মুন্সীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ আবুল কাশেম মোড়ল, রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন, ভুরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু।
সভা শেষে এ্যাডভোকেট শোকর আলী প্রেসক্লাবে অবস্থান করায় তখন উপস্থিত প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিককেও ও ১৪ দিনের হোমকরেনন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে প্রেসক্লাব সভাপতি নিশ্চিত করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাভোকেট শোকার আলীর শারীরিক অবস্থা ভাল বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম আবুজর গিফারীর সাথে মঙ্গলবার রাত ১০টায় মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি আমি সঠিকভাবে জানি না। অনলাইন পত্রিকা থেকে বিষয়টি জেনেছি। তিনি বলেন, ঐ মিটিং এ অনেকেই ছিলেন, যদি হোম কোয়ারেন্টোইনে থাকার পরামর্শ দিতে হয় তাহলে তো অনেককেই থাকার পরামর্শ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যানদের কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করছে না এমনটি জেনেছি। তবে তারা সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম করছেন বলে জানিয়েছেন।