নিজস্ব প্রতিবেদক : কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে সংকটে পড়েছেন সাতক্ষীরাবাসী। এই চামড়ার ক্রেতা নেই। একই সাথে পচন ধরার ভয়ে এই চামড়া বেশি সময় নিজেদের কাছে রাখবার সুযোগও নেই তাদের। ফলে জেলার কোথাও কোথাও পানির দামে বিক্রি হচ্ছে চামড়া। কোনো কোনো স্থানে পুকুরে মাছের খাবার হিসাবে চামড়া ফেলে দিচ্ছে মানুষ। জেলার সদর উপজেলার মোহনপুর , দেবহাটার পারুলিয়া ও কলারোয়ার চামড়ার বাজারে বেচাকেনার ধরনও একই রকম। পাইকাররা চামড়া কিনছেন না। কিনলেও কম দামে এমন কি তাও বাকিতে।
গ্রামবাসী কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় মসজিদ মাদ্রাসা এমনকি এতিমখানায় দান করেছেন। এরপর যারা এই চামড়া গ্রহন করেছেন তারা পড়েছেন বিপাকে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমান এবং উত্তর তলুইগাছা মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান জানান মসজিদের পক্ষে তারা তিন শতাধিক চামড়া পেয়েছেন। এর মধ্যে খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রতিটি মাত্র পাঁচ টাকায়। গরুর চামড়া প্রতিটি মাত্র তিরিশ টাকায়। এছাড়া বকরি ,গাভি ও ছোট গরুর চামড়া কেউ কেনেই নি। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম জানান তারা চামড়া কিনেছেন খুব কম দামে। এর কারণ হিসাবে তারা জানান গত বছরের টাকা এখনও হাতে পাননি। ফলে বেশি টাকা দিয়ে চামড়া কিনে আবারও লোকসানের মুখে পড়তে চান না। একই কথা জানান কলারোয়া ও পারুলিয়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা। তারা চামড়া কিনে লবণ মাখিয়ে তা যশোরে বিক্রি করেছেন সেও কম দামে।
জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান এ বছর সাতক্ষীরায় কমবেশি ৫২ হাজার গরু ও ছাগল কোরবানি হয়েছে। এর চামড়া বিক্রি করতে না পারায় মানুষ সমস্যায় রয়েছেন।
এদিকে চামড়ার বাজারে এতো বড়ো ধ্বসের মুখে তা ভারতে পাচার হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে ।
সাতক্ষীরায় কোরবানির খাসির চামড়া ৫ ও গরু ৩০ টাকা
পূর্ববর্তী পোস্ট