শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে গ্যারেজ টু হরিনগর রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার না হলে বিপাকে পড়বে ৫০ হাজার মানুষ। সরেজমিনে বুধবার (১৮ মার্চ) যেয়ে দেখা যায়,শ্যামনগর উপজেলার সর্ব বৃহৎ ইউনিয়ন এমনকি খুলনা বিভাগের বৃহত্তম ইউনিয়ন নামে মানচিত্রে পরিচিত, সুন্দরবনের কোলঘেঁষা ০৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সাথে উপজেলা-জেলা সদরে যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র রোড হরিনগর টু গ্যারেজ।বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ৮টি স্থানে ১-২ফুট পর্যন্ত গাড্ডায় পরিণত হয়েছে। ভারী থেকে যাবতীয় যানবাহন চলাচল ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তাটি এখন মরণফাঁদ। দেখার কেউ নেই। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার বা মেরামত না হলে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়বে ৫০ হাজার পথচারী ও সাধারন মানুষ। প্রভাব পড়বে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপর। মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজার শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৩য় স্থানে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে খাদ্য,চিংড়ি,সবজি,ঔষধসহ বিভিন্ন প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল বহন করে আনা-নেওয়া হয়। চলতি অর্থবছরে রাস্তাটি সংস্কার হবে কিনা জানতে চাইলে শ্যামনগর উপজেলার সার্ভেয়ার আলতাফ হোসেন জানান, চলতি অর্থবছরে কোন বরাদ্দ নেই, স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার করা যেতে পারে। কারণ, ইউনিয়ন পরিষদে খাতওয়ারী বিভিন্ন বরাদ্দ থাকে। মারাত্মক গাড্ডা হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে নির্ধারিত সময়ের আগেই কার্পেটিং নষ্ট হয়েছে। কথা হয় মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আবুল কাশেম মোড়লের সাথে। তিনি জানান, হরিনগর-গ্যারেজ কার্পেটিং রাস্তাটি একটি জন-গুরুত্ব পূর্ন রাস্তা। প্রয়োজনের সার্থে মালামাল আনা নেওয়া করে যানবাহনে। কারতো নির্দিষ্ঠ করে ভারী যানবাহন চিহ্নিত করে আমরা বন্ধ করতে পারিনা। বর্তমানে রাস্তাটির যে অবস্থা তা মেরামত বা সংষ্কারের বরাদ্ধ ইউনিয়ন পরিষদের নেই। তিনি সংসদ সদস্য মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দার বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তার তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। অবশ্যই বরাদ্ধ পাওয়া যাবে। সবাইকে একটু ধৈর্য্য ধারণ করে বর্তমান সরকারের উপরে আস্থা রাখার আহ্বান জানান।
হরিনগর টু গ্যারেজ রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমের আগে সংস্কার দাবী
পূর্ববর্তী পোস্ট