আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 47 ভিউস

সাতনদী ডেস্ক: আজ পালিত হচ্ছে সারাদেশে শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিয়েছেন পৃথক পৃথক বাণী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগী আলবদর-আলশামস নামের মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যরা ঢাকা এবং দেশের অন্যত্র বাঙালি অধ্যাপক, শিল্পী, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, ও সাংবাদিকদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। সেসময় এক হাজারেরও বেশি বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। অধ্যাপক জি সি দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশীদুল হাসান, ড. আনোয়ার পাশা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দীন আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীনসহ আরও অনেককে হত্যা করা হয়।
এদের হত্যা ও পরিকল্পনার ব্যাপারে সব তথ্য ফাঁস করেন একজন পাকিস্তানী গবেষক, যার নাম সেলিম মনসুর খালেদ। মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ সেলিমের বই থেকে আদালত একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে যেসব আসামী অভিযুক্ত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। পাকিস্তানের লাহোর থেকে প্রকাশিত হয় এই বইটি ২০০৩ সালে। পাকিস্তানী গবেষক ও লেখক সেলিম মনসুর খালেদ তার ‘আলবদর’ বইয়ে একাত্তরে আলবদর গঠনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।’ ওই বই উদ্ধৃত করে মুজাহিদের আপিলের রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ‘একাত্তরে মেজর জেনারেল আবদুর রহীমের সঙ্গে ঢাকার ছাত্র সংঘের নেতারা দেখা করে আলবদরের বিষয়ে কথা বলেন। জেনারেল রাও ফরমান আলীর সঙ্গে কথা বলে আবদুর রহীম আলবদরের বিষয়টি চুড়ান্ত করেন, একই সঙ্গে লে. কর্নেল আহসানউল্লাহকে আলবদর গঠনের ব্যাপারে নির্দেশনা দেন। ঢাকায় আলবদরের দায়িত্ব দেয়া হয় ব্রিগেডিয়ার বশীরকে। ২১ মে তিনি ছাত্র সংঘের সদস্যদের ‘আলবদর’ নামকরণ করা হয়। এদের কাজ ছিলো লেখক-বুদ্ধিজীবি-সাংবাদিকদের হত্যা করা। বাঙালি জাতিকে মেধাহীন করাই ছিলো লক্ষ্য। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা কলেজে (একাত্তরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) স্থাপন করা হয়েছিলো আলবদর বাহিনীর সদর দপ্তর। একাত্তরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাজাকার বাহিনীর প্রধান ও শান্তি কমিটির লিয়াজোঁ কর্মকর্তাকে নিয়ে জামায়াতের তৎকালীন আমির গোলাম আযম মোহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা কলেজে রাজাকার ও আলবদর শিবির পরিদর্শন করেন।’
এদিকে ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় লেখা হয়, জেনারেল রাও ফরমান আলীর ডেস্কে পাওয়া নথিগুলোর মধ্যে আলবদর-সম্পর্কিত একাধিক গুপ্ত নথি পাওয়া গেছে।’



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!