আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুষ্ঠিত হলেও বাদী পক্ষের অনীহার ছাফ লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার দিনভর তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রকিব গত ২৬ ডিসেম্বর তদন্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে বাদী ও বিবাদীদের নোটিশ করেন। নোটিশে ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১ টার সময় উপযুক্ত স্বাক্ষ্য প্রমানসহ যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, নির্ধারিত সময়ে বাদীপক্ষের ৫১ জনের মধ্যে একমাত্র বাউশুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ^রঞ্জন সরকার এবং বিবাদী শীতলপুর স/প্রা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম ছাড়া আর কেউ উপস্থিত হননি। বিবাদী লিখিত জবানবন্দি প্রদান করেন। দুপুর ১ টা পর্যন্ত একই অবস্থা ছিল। বেলা আড়াইটার দিকে বিবাদী বাদীদের উপস্থিত না দেখে চলে যান। বিবাদী আবুল কালাম জানান, ১ টা পর্যন্ত একজন বাদী উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে ডেকে ডেকে অফিসে নিয়ে আরও ৪/৫ জনকে হাজিরায় স্বাক্ষর নেয়া হয়, তবে তার সামনে ও তার উপস্থিত থাকা পর্যন্ত কারো থেকে লিখিত বা মৌখিক জবানবন্ধি নেয়া হয়নি। শিক্ষকরা দাবী করেন প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম দক্ষতার সাথে প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হওয়ায় শিক্ষক সমাজের একাংশ হতবাক হয়েছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মোবাইলে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রকিব বলেন, বিকালে অন্য বাদীদের লিখিত জবান বন্দি গ্রহন করা হয়েছে, তবে পর্যালোচনা করা হয়নি।
আশাশুনিতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন
পূর্ববর্তী পোস্ট