আশাশুনির বাটরায় বাল্যবিবাহের অভিযোগ

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 31 ভিউস

বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি থেকে:

আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের মেয়ে, গোদাড়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে বাল্যবিবাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিকল্পিতভাবে মেয়ে ছেলেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এরপর আটকে রেখে ওই রাতেই তাদের বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করেছে বলে ছেলের পরিবার জানিয়েছে। বিষয়টি এলাকাবাসীর দৃষ্টিগোচর হলে আশাশুনি থানাকে অবহিত করলে এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য সহ সার্বিক বিষয় খোঁজখবর নেন।

সরেজমিনে গেলে বাটরা গ্রামের ছেলের পিতা আব্দুল মান্নান, চাচা মোস্তফা সরদার সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে একই গ্রামের আব্দুল মাজেদ সরদারের ছেলে মোস্তাকিম সরদার, মুজাহিদ সরদার, খালেক সরদারের ছেলে মুজাক্কির সরদার ও ভিকটিম কন্যা (১৫) কৌশলে ঘরের মধ্যে ছেলে তরিকুলকে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে একে একে শতাধিক গ্রামবাসী জড় হতে থাকলে অবস্থার বেগতিক দেখে উধুর পিন্ড বুধুর ঘাড়ে চাপানোর জন্য পুলিশকে খবর দেয়। এদিকে এলাকাবাসী বলছে গোদাড়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিগত দুই থেকে তিন মাস যাবত ভিকটিমের পরিবার তাদের মেয়ের বয়স বাড়ানোর জন্য অধ্যক্ষ শফিউল্লাহর নিকট জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েও তাতে কোন লাভ হয়নি। এলাকাবাসীর প্রশ্ন অধ্যক্ষ কেন বিষয়টি জেনে না জানার ভান করে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করেছেন।

এ বিষয়ে শফিউল্লাহ বলেন, ষষ্ঠ হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত যে সকল ছেলে-মেয়ে আমার মাদ্রাসায় পড়া-লেখা করছে সকলেই বাল্যবিবাহের আওতাভুক্ত। শুনেছি আমার মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী মান্নান সরদারের ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরে (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ এসেছিল তারপর কি হয়েছে সেটা আমি জানিনা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ানুর রহমান বলেন, এমন কোন অভিযোগ এখনো পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। কর্তব্যরত এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, বাটরা গ্রামের মান্নান সরদারের ছেলে তরিকুল গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী মাজেদ সরদারের বাড়িতে যায়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। কিন্তু তরিকুলের পরিবার হাজির না হওয়ায় মেয়ের বাড়িতে তাকে রেখে আসা হয়েছে। তিনি আরো বলেন ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে। তবে বিয়ে হয়েছে কিনা এটা আমার জানার বাইরে।

রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!