নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের কাছে চাঁদাদাবী ও না দেওয়ায় মারধোর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বুধহাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমন হোসেন (২০) নাহিদ হোসেন(১৯) ও আব্দুল্লাহ নামের ৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের নামে সাতক্ষীরার আশাশুনি থানায় চাঁদাবাজীর মামলা হয়েছে।মামলা নাম্বার-৩১, তাং ২৫/০৮/১৯।
রোববার(২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা বাজার থেকে পরিদর্শক হারান চন্দ্র পালের সার্বিক সহায়তায় এস.আই রিয়াদুল ইসলামের নেতৃত্বে এস.আই মো. হাফিজুর রহমান, এস.আই মিজানুর রহমান, এ.এস.আই বিষ্ণু কুমার ঘোষাল , এ.এস.আই শরীয়াতুল্লাহ ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো ,বুধহাটা গ্রামের মো. হাতেম আলী সরদার ছেলে ইমন হোসেন একই গ্রামের আবদুল মান্নান ছেলে নাহিদ হোসেন ও বুধহাটা গ্রামের মো আব্দুল্লাহ ।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখার(ডিবি)অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আলী আহমেদ হাশমী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,গত সোমবার (১৯ আগস্ট) সাতক্ষীরার আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মতিয়ার রহমানের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি দিতে নারাজি হয়। পরবর্তীতে তাকে বুধহাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমন হোসেন তার সঙ্গীয় ২ সহযোগী মিলে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের উপর ইউপি সদস্যের চলন্ত মোটরসাইকেল থামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও পরে মারধর করে। ইউপি সদস্যের মারধরের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যা ভাইরাল সৃষ্টি হয়।তারই পরিপেক্ষিতে তাদেরকে আটক করা হয়।এ ব্যাপারে আশাশুনি থানায় রবিবার (২৫ আগষ্ট) সকালে একটি মামলা দায়ের হয় ।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, বুধহাটা গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র নাহিদ হাসানকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে তাকেও গ্রেফতার করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে নাহিদের বড় ভাই মারপিটে অংশ নেয়। অথচ নিরাপরাধ নাহিদকে আসামী করা হয়েছে মামলায়। নাহিদ বুধহাটা বি, বি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
নাহিদের পরিবারও জানায়, সে নির্দোষ। কোনভাবে সে এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। নাহিদের বড় ভাই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলেও তার পরিবার স্বীকার করে নেন।
অপর একটি সূত্র জানায়, এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে সব কিছু পরিষ্কার। ভিডিও ফুটেজে মারপিটে ও হামলায় ৪/৫ জনের অংশ নিতে দেখা গেলেও উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে স্থানীয় গ্রুপিংয়ের কারনে মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আ,ব,ম মোসাদ্দেক এর বিরুদ্ধে মতিয়ার সহ ৩ জন মেম্বর সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবর কর্মসৃজনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে একটি আবেদন দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের মদদে এসব মেম্বরের বিরুদ্ধে তার লোকজন মারপিটের ঘটনা শুরু করে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে।