সচ্চিদানন্দদে সদয়, আশাশুনি: আশাশুনির বুধহাটা বাজার উপজেলার প্রান কেন্দ্র।অথচ বাজার টি সবদা নোংরা ও জলামগ্ন থাকে। কোথাও নেই ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। যে কারণে সড়কের পাশে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। যা ড্রেনের সাথে মিশে গিয়ে পয়:নিষ্কাশনের পথে সৃষ্টি করছে প্রতিবন্ধকতা। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো বাজারের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। অভিযোগ নিবাচিত বাজার কমিটি না থাকায় এবং উপজেলা প্রসাশনের উদাসিনতায় বাজারটি ময়ালা-আবর্জনার নির্দিষ্ট কোনো স্থান নির্মাণ হচ্ছে না। এর কারণে শহরের সুস্থ পরিবেশও বিনষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও রয়েছে বুধহাটা সহ আশপাশ এলাকার জনসাধারন। তীব্র গরম ,বৃষ্টি ও সড়কের পাশে ফেলা ময়লা আর্বজনা দূর্গন্ধের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এবং সাথে সাথে পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিনে বুধহাটা বাজারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে হোটেল রেস্তোরার উচ্ছিষ্ট খাবার বা নিত্যদিনের বর্জ যত্রতত্রই ফেলে রাখা হচ্ছে। এর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এছাড়া আর কোন উপায় নেই। যদি নির্ধারিত ডাস্টবিন থাকতো এখানে ওখানে ময়লা ফেলা হতো না। এখানে সড়কের আশপাশে না ফেলে কোথায় ফেলবো। এগুলো ফেলার পরে আমাদেরও অনেক কষ্ট হয়। এভাবে ময়লা আবর্জনা স্তুপের দৃশ্য দেখা যায় তরকারি বাজারে সংলগ্ন , বুধহাটা নন্দ ডাক্তারের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায়.বাজারের চাউল পট্টি এলাকায়,পরিতোষ ঠাকুরের বাড়ির সামনে থেকে তরকারি বাজার পযন্ত। বুধহাটা চাপড়ার প্রধান সড়কের পাশ সহ আরও বেশ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ফেলে রাখার কারণে জনদূভোর্গ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বুধহাটা বাজারের অনেক ব্যবসায়ী বলেন, এভাবে যত্রতত্র স্থানীয়দের ফেলানো ময়লা-আবর্জনা পথচারিদের পায়ে পায়ে এবং কুকুর ও গরুর নাড়াচাড়ায় ড্রেনের মধ্যে গিয়ে মিশে যাচ্ছে। আর এ কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতা ও স্থানীয় জনসাধারনের । এর পাশ দিয়ে হাটতে গেলে নাকে মুখে কাপড় মুড়ানো থাকতে হয়। না হয় সাথে সাথে বমি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। বাজার ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রধান সড়কের ওপর এবং এসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থেকে প্রতিদিন এসে ময়লা-আর্বজনা তুলে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট কোন একটা জায়গায় ফেললে বাজার টির একটা সুষ্ট পরিবেশ বজায় থাকতো। আর এ পরিবেশ বজায় না থাকার কারণে দিনের পর দিন বাজার টির গুরুত্ব লোপ পাচ্ছে।এসব পয়েন্টে ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্টরা সেসব ময়লা তুলে নিচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা বলছেন, পাড়া-মহল্লাহ ময়লা-আবর্জনা অনিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। এসব পথ দিয়ে যাতায়াত কারিরা দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে হেঁটে যাচ্ছেন। এছাড়া আশপাশে দোকানিরা তীব্র দুর্গন্ধের মধ্যেই বাধ্য হয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিরমুখে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পরিকল্পিত কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে। এ নিয়ে পরিকল্পনা করা দরকার। তা না হলে বুধহাটা বাজারটি যেমন অপরিচ্ছন্ন হবে তেমনি মানুষের শরীরেও নানা রোগ বাসা বাঁধবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ শীঘ্রই পদক্ষেপ নিবেন এ দাবি এলাকাবাসি সহ সচেতন মহলের।
আশাশুনির যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা :বিস্তার লাভ করতে পারে এডিস মশা

