আশাশুনি এসিড নিক্ষেপের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসপি মোস্তাফিজুর রহমান

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 29 ভিউস

নিজস্ব প্রতিবেদক: মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) এসিড নিক্ষেপের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দগ্ধ ফাতেমা ও তার সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একই সাথে অভিযুক্ত ডিভোর্সকৃত স্বামী শাহাজান মোড়লকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে। এ সময় (আশাশুনি-দেবহাটা) সার্কেল এসপি ইয়াছিন আলী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, ওসি আব্দুস সালাম, ইউপি চেয়ারম্যান আ ব ম মোছাদ্দেক, আবু হেনা শাকিলসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, আশাশুনিতে ডিভোর্সকৃত স্বামীর নিক্ষিপ্ত এসিডে স্ত্রী ও এক শিশু কন্যা মারাত্বক ভাবে দগ্ধ হয় । ঘটনাটি ঘটে, সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের ইকবালের বাসায়। ঘটনার সময় বাসায় কেউ না থাকায় এসিডে দগ্ধ ফাতেমা ও শিশু কন্যার আত্ম চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে মা মেয়ের দগ্ধ অবস্থা দেখে দ্রুত তাদেরকে প্রথমে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে ঐ রাতেই তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতল থেকে মঙ্গলবার ফাতেমা ও শিশু কন্যার ঢাকা মেডিকেলে হস্তান্তর করা হয়। ফাতেমা ও দগ্ধ ফাতেমা ও তার পরিবার সূত্রে জানাগেছে, কয়েক বছর আগে নড়াইল জেলার পঙ্কবিলা গ্রামের শওকত মোড়লের ছেলে শাহাজান মোড়লের সাথে বিয়ে হয় চাপড়া গ্রামের ইকরাম আলীর মেয়ে ফাতেমা খাতুনের। বিয়ের পর তাদের সংসারে কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। কিন্তু বছর দুই পেরিয়ে যেতেই পারিবারিক কলোহের জের ধরে স্ত্রী ফাতেমা তার স্বামী শাহাজান মোড়লকে ডিভোর্স দেয়। তারই জের ধরে ঘাতক স্বামী রাতের আধারে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুবাদে গ্রীলের জানালা দিয়ে ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে। এসময় স্ত্রী মারাত্বক ভাবে এবং ২বছরের শিশু কন্যা জাকিয়া মেহজাবিন দগ্ধ হয়। তবে ডিভোর্সকৃত স্বামী শাহাজান মোড়ল দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!