নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি সভা কৌশলে পন্ড করার অভিযোগ উঠেছে আশাশুনির মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শ্রীউলা ইউনিয়ন সহ আশাশুনি উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, তাঁতীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। শ্রীউলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান বলেন, ৭ আগস্ট বুধবার বিকেলে শ্রীউলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের প্রস্তুতি সভা ছিল। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের জেলা সদস্য সচিব, লায়লা পারভীন সেঁজুতি।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরশাদ আলী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোষিকে কাইফু, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুকুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। এছাড়া আওয়ামীলী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শাহিনুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শোক সভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানটি মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নীচ তলায় আয়োজন করার কথা ছিল। উক্ত সভা সফল করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ মাড়িয়ালা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেয়ার কথাও বলেন। কিন্তু যথাসময়ে নের্তৃবৃন্দ স্কুলে হাজির হয়ে হলরুমটি বন্ধ পেয়ে প্রধান শিক্ষক অজিয়ার রহমানকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে স্কুলের জমিদাতা সদস্য মায়নুল ইসলাম বুলুর পিতা প্রধান শিক্ষকের কাছে চাবি চাইলেও না দিয়ে তাল বাহানা করেন। ইতোমধ্যে তিনি লাপাত্তা হয়ে যান। মোবাইল ফোনে তাকে কল করলে তিনি বলেন, “আমি আশাশুনি, আপনি সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ এর কাছে থেকে চাবি নিয়ে নিন। পরে শিক্ষক আবু সাঈদ এর কাছে যেয়ে চাবি চাইলে তিনিও বিভিন্ন তালবাহনা করতে থাকেন। এ সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাকি বিল্লাহ’র কাছে সবকিছু জানান উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোষিকে কাইফু। তিনি প্রধান শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে ফোনে শোক সভাটি করার অনুমোতি দিতে বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক তার মুঠো ফোন বন্ধ করে রাখেন। উপায়ন্তর না পেয়ে পরে খোলা আকাশের নীচে বৃষ্টির মধ্যে মাড়িয়ালা মোড়ে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে চেয়ার ও টেবিল পেতে এবং বৃষ্টির বাধা উপেক্ষা করতে ত্রিপল-পলিথিন দিয়ে শোকসভা ও আলোচনা অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাই আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু বিরোধী এই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজিয়ার রহমান বলেন, আমাকে আগে জানানো হয়নি। এছাড়া শিক্ষা অফিসার বলেছিলেন ১৫ আগস্ট পালনের জন্য, প্রস্তুতিতি সভার জন্য নয়। এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে সভা করতে সহযোগিতা করার জন্য বলেছিলাম। এরপরে কী ঘটেছে আমার জানা নেই।
আশাশুনি শিক্ষকের বিরুদ্ধে শোক দিবসের প্রস্তুতি সভা পন্ড করার অভিযোগ


পূর্ববর্তী পোস্ট