হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: আগামী ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে নিয়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নেতা কর্মীদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারি হাইব্রিড হঠাও এবং কাউন্সিলার তালিকা তৈরি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নিয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার বেলা ১০টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সম্মেলন তদারকি কমিটির প্রথম সভার চিত্র থেকে এমনটাই আশা করছে দলীয় নেতা-কর্মী সর্মথকরা। কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তারালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীগের তদারকি কমিটির দলনেতা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাক্ষ জাফরুল আলম বাবু, এবং সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা শফিউল আলম লেনিন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ডাঃ মুনছুর আলী, মশিউর রহমান মন্টু, অসিম মৃধা এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুুত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দীন, ডি.এম সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব সজল মুখার্জী, সদস্য এ্যাডঃ মোজাহার হোসেন কান্টু, নরিম আলী মাষ্টার, ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম, ছাড়াও সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটির ২৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপজেলা ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়নের কাউন্সিলার তালিকা তৈরির সভা সম্পন্ন হইয়াছে বাকি নলতা ইউনিয়নের কাউন্সিলার তালিকা প্রস্তুুতি সভা শনিবার বিকালে সম্পন্ন হইয়াছে। যেকারণে শনিবারের সম্মেলন তদারকি কমিটির হাতে কাউন্সিলার তালিকা তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সভার শুরুতে কালিগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী সভায় অংশ গ্রহন নিয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যদের তীব্র আপত্তির মুখে মার মুখি হট্টগোল শুরু হলে তদারকি কমিটি সদস্য ডাঃ মুনছুর আলী তার বক্তব্যে নিয়ন্ত্রণে আনলে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়। ঐ সময় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্যরা বলেন বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে সতন্ত্র প্রার্থী হওযায় তাকে দল থেকে শোকজ করা পরে দলের সভানেত্রী সারারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও বিদ্রোর্হী প্রাথী দলীয় পদ-পদবীর জন্য প্রার্থী হতে পারবেন কিনা সেটা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তর অপেক্ষায় দলীয় নেতা-কর্মীরা। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম এর নিকট জিঞ্জাসা করলে তিনি বলেন আগামী ৬ নভেম্বর জেলা কমিটির সভায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। গত ৫ অক্টোবর জেলা আওমীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মুনছুর আহম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত কালিগঞ্জ উপজেলা আওমীলীগের ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে দেন। উক্ত কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডদের স্থান দেওয়াকে কেন্দ্র করে উক্ত কমিটি হতে ৯জন সদস্য তীব্র প্রতিবাদ করে কমিটি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা নেতৃবৃন্দের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। সেই থেকে সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটি দুইভাগে বিভক্তি হয়ে ইউনিয়ন কউন্সিলার গঠনের জন্য সভা সমাবেশ করলে আরো উত্তেজনা বেড়ে চলে। এছাড়াও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অধিকাংশ সদস্যরা সভাপতি, সম্পাদক সহ অন্যান্য পদ-পদবির প্রত্যাশায় নিজেদের মতন করে কাউন্সিলার তালিকা তৈরি করতে প্রকাশ্যে ইউনিয়ন সভায় তালিকা না করায় আরো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ইউনিয়নে ২০জন করে এবং দলীয় নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যানকে সংযুক্ত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলার তৈরি করতে হবে। কিন্তুু সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটির সদস্যরা নিজেদের পছন্দ মতন আরো ১০ জন কাউন্সিলার সহ মোট ৩১ জন কাউন্সিলার নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটির ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের কাউন্সিলার না করার সিদ্ধান্তকে দলীয় নেতা-কর্মীরা তৃীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ে যে কারণে আগামী ৭ নভেম্বর কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হবে কিনা সেটা নিয়ে সন্ধিহান নেতা-কর্মীদের মাঝে। র্দীঘ ৪ বছর কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়মীলীগের সভাপতি, সম্পাদক ছাড়া পূণাঙ্গ কমিটি না থাকার সুযোগে বিগত ২০১৩ সালের পর হতে জামায়াত-বিএনপির নেতা কর্মীরা আওয়ামীলীগ ও তার সহোযোগী সংগঠনের জেলা এবং উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দকে মোটা অংঙ্কের টাকা দিয়ে পদ-পদবী কিনে তারা এখন চালকের আসনে বসে আছে। বর্তমান আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা হাইব্রিড অনুপ্রেবশকারীদের তালিকা করে দল থেকে তাদেরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তুু বর্তমান কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন ইউনিয়নে পদ-পদবীধারি অনুপ্রেবেশকারীদের সাথে নিয়ে কাউন্সিলার তালিকা তৈরি করা নিয়ে সম্মেলন ভুন্ডল হওয়ার আশাংকা বিরাজ করছে। বিগত ২০১৫ সালে ১১ জানুয়ারী কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে বিনা প্রতিদন্দিতায় প্রয়াত আলহাজ¦ শেখ ওয়াহেদ্জ্জুান সভাপতি নির্বাচিত হয়। এবং সাইদ মেহেদী কাউন্সিলাদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এর পরে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন না করে প্রায় ৪ বছর চালিত হয়। গত ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারী সভাপতি আলহাজ¦ শেখ ওয়াহেদুজ্জমান মৃত্যু বরণ করায় কালিগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের কমিটি শূন্যতা রিবাজ করে আসছে। যে কারনে আগামী ৭ নভেম্বর উপজেলা সম্মেলন সামনে রেখে ১টি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন হবে এই প্রত্যাশায় দলীয় নেতা- কর্মীরা আশায় বুক বেঁধে আছে এর ব্যতয় ঘটলে সম্মেলন বানচাল করার হুমকি দিয়েছে দলের ত্যার্গী নেতা-কর্মীরা।
কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনকে ঘিরে নেতা কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ

