কালিগঞ্জ সদরে একটি রাস্তা এখন এডিস মশার উৎপাদন খামার!

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 36 ভিউস

হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলা সদর হতে ৫০০ গজ পূর্বে অধ্যাপক খোদাবক্স স্যারের বাড়ীতে মোড়ল পাড়া ভায়া মৎস্য সেটের পিছনে জেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের রাস্তার দুই ধার এখন ডেঙ্গু বিস্তারের জন্য এডিস মশা উৎপাদনের খামারে পরিনত হয়েছে। পানি সরানোর পথ না থাকায় একটু বর্ষা হলেই রাস্তা হাটু পনিতে ডুবে যায়। অথচ এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ব্যবহার করে প্রতিদিন কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং ফুলতলা বাজারে লোকজন অনেক কষ্টে যতাযাত করতে হয়। ভোট আসলে শুধু মুখে মুখে উন্নয়নের প্রতিশূতি দিলেও দীর্ঘ ১৫ বছরে রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি। যে কারণে রাস্তায় এবং রাস্তার দুই পাশে জলবন্ধতার কারণে এডিস মশার উৎপাদন খামার হিসাবে এলাবাসীর মুখে মুখে। বর্তমান ডেঙ্গু এবং এডিস মশার প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দেখানোর জন্য গত এক সপ্তাহ আগে কুশুলিয়া এক এবং দুই নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য রফিকুল বারী রফু, খায়রুল ইসলাম, মহিলা সদস্য খোদেজা খাতুন এবং নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ ইবাদুল ইসলাম মোড়ল পাড়া মসজিদের সামনে এসে সভার নামে লোক দেখানো ছবি তুলে ফেইজবুকে দিয়ে ভাইরাল হয়ে জেলা প্রশাসকের নজরে আনা ছাড়া আর কিছু হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান। অথচ রাস্তার দুই ধারে পানি জমে দুর্গন্ধে এডিস মশার উৎপাদন খামারে পরিণত হয়েছে। যা চোখে না দেখলে বিশ^াস করা কঠিন। কুশুলিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওর্য়াডে কালিগঞ্জ ছাড়া বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামের খোদাবক্স স্যারের বাড়ী হতে মোড়ল পাড়া রাস্তা, শেখ পাড়া, ওজিয়ার বাড়ী, ছুরমান, খায়রুল মেম্বর, হাফিজ হোসেন, ছাদিক এর বাড়ী এলাকায় পানি সরানোর কোন পথ বা ড্রেন না থাকায় দুইটি ওয়ার্ডের অধিকাংশ বসবাসকারীরা পনিতে বন্দি জীবন-যাপন করছে। এই পানি জলবন্ধতায় রুপ নিয়ে ছোট-বড় খানা খন্দে এডিস মশাস উপদ্রব্য বৃদ্ধি পেলেও দেখার কেউ নাই। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী গত ২৩ আগষ্ট উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট একটি গণ পিটিশন করলেও সেটা খোঁজ নেওয়ার কেউ নাই বলে এলাকার ভুক্তভুগীরা জানান। জলাবন্ধতা দূর করতে মাঝে মধ্যে জনগণের চাপে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান সরজমিনে এসে অন্যের বাড়ীর দিয়ে পানি সরনোর ব্যবস্থা করে দিলেও সেটা আবার বন্ধ করে দিয়েছে। উপজেলা জুড়ে যখন ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশার বিস্তার রোধের চেয়ে এখন জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আর্কষন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি তুলে এবং কিছু লোক জড় করে কাধে স্প্রে মেশিন লাগিয়ে ইনটারনেটে ছেড়ে দিলে অভিযান শেষ। এখন মোবাইল হাতে থাকলে ঘরে বসে কোথায় অভিযান চালিয়েছে তা দেখা, শেয়ার করা, এবং লাইক দেওয়ার প্রতিযোগিতা ছাড়া আর কোন কাজ নাই। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা, কর্মচারিদের অভিযানের ভিডিও করার জন্য কিছু দালাল টাউডদের ছবিতে সব সময় দেখা যায়। এবং সেগুলো দ্রুত তাদের নাম দিয়ে ফেইজবুক ইনটারনেটে ভাইরাল করার কাজে ব্যস্ত থাকে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কোন এলাকায় গেলে তাদের উপস্থিতি এবং ছবি তোলার হিঁড়িকে অভিযান থমকে যায়। উপজেলা সদর হতে ৫০০ গজ দূরে এত বড় সমস্যা আজও পযর্ন্ত উপাজেলা প্রশাসনের নজরে আসেনি। অথচ জেলা প্রশাসক মহোদয় হঠাৎ আগমনে ও জনসচেতনাতায় আসলে নজরে আসে যেমনটি হয়েছিল শ্রীকলা গ্রামের রেজাউল মাষ্টারের বাড়ীতে সেখানে জেলা প্রশাসক মহোদয় বাড়ীতে ঢুকে এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পান এবং সেটা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ধংস করেন। পানি সরানোর পথ না থাকায় দীর্ঘদিনের সমস্যা এবং রাস্তায় নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হাসুহস্তক্ষেপ কমনা করেছে।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!