সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার আরার গ্রামে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী ও তার পারিবারের লোকজন স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা ও সন্তানকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে জানাগেছে, আরার গ্রামের রেজওয়ান আলির কন্যা খুশি আক্তার রানীর সাথে কাদাকাটি গ্রামের সাইফুল সরদারের পুত্র (পালিত পিতা আনোয়ার হোসেন) নয়ন ইসলামের সাথে ২০১৭ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় অনুমান ২ লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও সাংসারিক জিনিসপত্র প্রদান করা হয়। ঘর সংসার কালে তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। নাম জাকারিয়া (৫ মাস)। দাম্পত্য জীবনে নানান খুটিনাটি বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে তার উপর অত্যাচার শুরু করলে, মেয়ের সংসারে শান্তি দেখতে তিনি নগদ দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান করেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে আরও ২ লক্ষ টাকার দাবীতে পুনরায় নির্যাতন শুরু করে নয়ন। এক পর্যায়ে প্রচন্ড নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে খুশিকে সাতক্ষীরা সিদ্দিক মোমোরিয়াল ক্লিনিক ও ফেমাস ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা ও পরীক্ষা করান হয়। অপরাধ বুঝতে পেরে স্বামীপক্ষ স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করিয়ে স্ত্রীকে আর নির্যাতন করবেনা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু না সে ওয়াদা বেশীদিন রক্ষা করেনি, বরং ৫/৮/১৯ তাং সকালে নয়ন এবং তার পালিত পিতা আনোয়ার হোসেন খোকন ও তার স্ত্রী মনজিলা খাতুন খুশীকে খুন করার উদ্দেশ্যে চাকু দিয়ে খোচা মেরে গলার নীচে ডান ও বাম পাশে আঘাত করে মারত্মক জখম করে এবং তার শিশু পুত্রকে ঘরের ওয়ালের গায়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা খুশিকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদও হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে খুশি বাদী হয়ে স্বামী নয়ন, পালিত পিতা আনোয়ার ও আনোয়ারের স্ত্রী মনজিলাকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পি-৩৮৭/১৯ নং মামলা রুজু করেছেন। বিজ্ঞ আদালত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এদিকে চতুর স্বামী নয়ন ১৫/২০ দিন আগে তালাক নামা ডাকঘরের মাধ্যমে স্ত্রী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরন করেন। স্ত্রী গ্রহন করেনি। চেয়ারম্যান ব্যবস্থা গ্রহন করার আগেই নয়ন তালাক নিস্পত্তির আগেই ২য় বিয়ে করেছে। চরম চাতুরতায় ভরা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নয়ন বলেন, চেয়ারম্যান কোন নোটিশ করেননি। স্ত্রী তালাক গ্রহন করেনি। তবুও প্রয়োজনে তিনি ২য় বিয়ে করেছেন।
কুল্যায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী ও সন্তানকে মারপিট : আদালতে মামলা
পূর্ববর্তী পোস্ট