জ্বালানি সংকট নিরসনে খুলছে নতুন সম্ভাবনার দ্বার

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 22 ভিউস

জাতীয় ডেস্ক:

খুলছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। শনিবার (১৮ মার্চ) উদ্বোধন হচ্ছে দেশের প্রথম আন্তঃদেশীয় পাইপলাইন। ওইদিন বিকেলে ঢাকা ও দিল্লী থেকে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।

নীতিনির্ধারকরা জানাচ্ছেন, মৈত্রী পাইপলাইনের ফলে উত্তরবঙ্গে জ্বালানি তেল পরিবহন হবে সহজ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ। যা জোরদার করবে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা। পূর্ণ সক্ষমতায় পাইপলাইনটি ব্যবহার করতে পারলে ডিজেল পরিবহনে সাশ্রয় হবে বছরে প্রায় শত কোটি টাকা।

জ্বালানি তেল আমদানির পর চট্টগ্রাম থেকে নৌপথে খুলনা, সেখানে থেকে রেল ওয়াগনে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পরিবহন- উত্তরবঙ্গে জ্বালানি তেল সরবরাহ এমনই নানা জটিলতা, দীর্ঘসূত্রতা, অপচয়ের ঝুঁকি আর চ্যালেঞ্জে মোড়ানো। অন্যদিকে ভারত থেকে রেল ওয়াগনে তেল আমদানিও সময়সাপেক্ষ।

এবার সে ধারা থেকে অনেকটাই বদলে যাচ্ছে উত্তরের জনপদে জ্বালানি তেল সরবরাহ। ভারতের নুমালিগড় থেকে পাইপলাইনে করে ডিজেল আসবে সরাসরি দিনাজপুরের পার্বতীপুরে। শনিবার বিকেলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ঢাকা ও দিল্লী থেকে যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।

শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পাইপলাইনের পুরোটাই নির্মাণ হয়েছে ভারতের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায়। যা দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছে জ্বালানি বিভাগ।

নীতিনির্ধারকরা বলছেন, মৈত্রী পাইপলাইন সুগম করছে উত্তরবঙ্গে যথাসময়ে সহজ ও ব্যয় সাশ্রয়ী পন্থায় নিরবচ্ছিন্ন ডিজেল সরবরাহ। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সম্ভব হবে নির্বিঘ্নে আমদানি। আধুনিক পরিচালন ব্যবস্থা কমাবে অপচয়ের ঝুঁকি, পদ্ধতিগত লোকসান। ফলে পার্বতীপুর ডিপোতে সার্বক্ষণিক মজুদ থাকবে পর্যাপ্ত জ্বালানি। যা সচল রাখবে কৃষিপ্রধান উত্তরের উৎপাদন ব্যবস্থা।

ভারত থেকে পাইপলাইনে প্রাথমিক অবস্থায় মিলবে বছরে ২ লাখ মেট্রিক টন, পরবর্তীতে যা উন্নীত হবে ১০ লাখ মেট্রিক টনে। পূর্ণক্ষমতায় পাইপলাইনটি ব্যবহার হলে পরিবহন ব্যয় বাবদ বছরে প্রায় শত কোটি টাকা সাশ্রয়ের আশা নীতিনির্ধারকদের।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!