মোঃ আকবর হোসেন,তালা: তালায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তালা উত্তরণ আইডিআরটিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হোসেন। উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী মনিরুজ্জামান জমাদ্দারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার রবিউল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদা পারভীন পাঁপড়ি, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেহেদী রাসেল, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু প্রমুখ।
এ সময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। এলাকার একটি বাড়ি বাকি থাকতেও বসে থাকা যাবে না। সুশাসন না থাকলে যেমন উন্নয়ন টেকসই হয় না। তেমনি ডেঙ্গু প্রতিরোধে টেকসই ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে না পারলে এর ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানা তিনি। তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় এ পর্যন্ত ৭১০ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। এখন ঢাকা থেকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার চেয়ে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। মানুষ সচেতন না হওয়ার কারণে ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি করতে হবে- তা না জানায় দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলার সদর ও কালিগঞ্জ উপজেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক কার্যক্রমের জরিপ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি যেসব পরিবার এখনো সচেতন নয়, তাদের সচেতন করার কার্যক্রম চলছে। ডাবের খোলা, টায়ার, দইয়ের পাত্রসহ ছোট ছোট পাত্রে যাতে পানি জমে না থাকে- সে বিষয়ে কাজ করা হলেও অবহেলার কারণে অনেক জায়গায় আবার এসব পাত্রে পানি জমতে দেখা গেছে। তাই কারা কি অবস্থায় আছে, তা জানতে হবে, জানাতে হবে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডেল্টা প্লানের আওতায় টেকসই উন্নয়নে পরিবেশ সংরক্ষণের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এজন্য তালার সকল খাল ও নদ-নদীর নেট-পাটা ও অবৈধ বাধ অপসারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, সামাজিক আন্দোলন হিসেবে ‘ক্লিন সাতক্ষীরা, গ্রিন সাতক্ষীরা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জেলা গড়ে তুলতে টেকসই ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দাওয়াত পাইনি কোন ডাক্তার। জনপ্রতিনিধিসহ অনেক বিশিষ্ট জনরা।
স্থানীয় সুধী মহলের সাথে মতবিনিময় করার কথা বললেও দাওয়াত দেওয়া হয়নি অনেক বিশিষ্ট জনদের। তালা উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ সদস্য, ডাক্তার,সাংবাদিকসহ একাধিক ব্যক্তিরা। ঠিক কি কারনে দাওয়াত দেওয়া হয়নি সেটা কারো বোধগম্য নয়। তবে এ নিয়ে তালা উপজেলায় আলোচনা-সমালোচনা প্রখর হয়ে উঠেছে।
তালার সকল খাল ও নদ-নদীর নেট-পাটা ও অবৈধ বাধ অপসারণ করা হবে- ডিসি মোস্তফা কামাল


পূর্ববর্তী পোস্ট