তালায় ২২ বছর বয়সের যুবকের শিকলবন্দী জীবন

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 96 ভিউস

বিশেষ প্রতিবেদক তালা: জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী কবিরাজী চিকিৎসাতেও কাজ হয়নি তার । শিকলবন্ধী আছেন ৫-৭ বছর ,কিন্তু এভাবে আর কতদিন । বলছি তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শুকদেবপুর গ্রামের আবুল হোসেন সরদার (২২) নামে এক যুবকের কথা

আবুল হোসেনের পিতা ভ্যানচালক আব্দুল মালেক সরদার জানান, তিন ছেলের মধ্যে আবুল হোসেন সবার বড়। জন্ম থেকে সে কিছুটা প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্পষ্ট হয়।। প্রায় পাঁচ বছর শিকল বন্দি জীবনযাপন করছে। মানসিক ভারসাম্যহীন এই যুবককে নিজ বসতবাড়ির পিছনে শিকল বন্দী করে রাখা হয়েছে । তবে তাকে সুস্থ করে তুলতে কবিরাজী চিকিৎসা চলছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে । সংসারে অভাব-অনটন থাকায় সময়মত তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি। বছর দুয়েক আগে পাবনা থেকে একজন ডাক্তার কপিলমুনি এসে রোগী দেখেন শুনে আবুল হোসেনকে সেখানে নিয়ে গেলে ঐ ডাক্তার বলেন, সে আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না। তাই প্রায় পাঁচ বছর ধরে শিকল বন্দি করে কবিরাজী চিকিত্সা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বর্তমানে তিনি নিজে ভ্যান চালান এববং অপর দুই ছেলে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। টাকার অভাবে ছেলেকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়ে ওঠে না।

সরজমিনে দেখা যায়,খুলনা-পাইকগাছা সড়কের উপজেলার তেঁতুলিয়া মিয়ার মসজিদ থেকে নওয়াপাড়া রোডে গেলেই সুকদেবপুর গ্রামের রাস্তার পাশেই দেখা মিলবে শিকল বন্দি যুবক আবুল হোসেনের।তাকে শিকল থেকে মুক্ত করলে প্রায়ই সে ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে ও ঘরের খুঁটি ধরে ঝাঁকুনি সহ যাহাকে সামনে পাই তাহাকে মারধোর করে । মানুষ দেখলেই তাদের দিকে তেড়ে যেত এবং কাউকে কিছু না বলে যখন-তখন এদিক-সেদিক চলে যেত। তার পাগলামিতে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

আবুল হোসেনের পিতার আকুতি,যদি সমাজের বৃত্তবান লোকেরা সহৃদ্বয়বান হয়ে আমার ছেলের জন্য একটু সাহায্য করতো তা হলে হয়তো উন্নত চিকিৎসা প্রদান করতে পারতাম ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন সোনা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব আবুল হোসেনের পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!