দারোয়ান দিয়ে চলছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ল্যাব

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 271 ভিউস

পিতা সিভিল সার্জনের অফিস সহকারী;
আউটসোর্সিংয়ের দারোয়ান মাসুদ রানা বে-পরোয়া;

নিজস্ব প্রতিবেদক: বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মী মাসুদ রানা। নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে না থেকে ল্যাবে বসে নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর বিভিন্ন পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করা হয়। সে মোতাবেক বিগত তিন বছর সুইপার পদে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের কর্মী ছিলো মাসুদ রানা। তবে তার পিতা জাহিদ হোসেন সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহকারী হওয়ায় আশির্বাদপুস্ট ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়ে মাসুদ রানাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ল্যাব এসিসটেন্ট হিসেবে বসিয়ে রাখে। সরজমিনে যার সত্যতাও মেলে। বৃহস্পতিবার মাসুদ রানাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ল্যাবে রিপোর্ট লিখতে দেখা যায়। এদিকে ল্যাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় স্থান করে নেওয়ায় ধীরে ধীরে বে-পরোয়া হয়ে ওঠে মাসুদ রানা। হাসপাতালে আগত রোগীদের কেবিন ও বেড পাইয়ে দেয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সদর হাসপাতালের ল্যাবে অবাধ প্রবেশের সুযোগ থাকায় টেস্ট করতে আসা রোগীদের যন্ত্রাপাতি খারাপ বা এখন টেকনিশিয়ান নেই বলে হাসপাতালের পাশে থাকা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক রেফার করে সে। এর ফলে সেসব ডায়াগনন্সিক থেকে মোটা অংকের কমিশন পেয়ে থাকে মাসুদ রানা। এখানেই শেষ নয়। ভাল চিকিৎসার নাম করে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করিয়েও কমিশন পেয়ে থাকে সে। অন্যদিকে হাসপাতালে দায়িত্বরত নার্সদের সাথে অশালীন আচরনের অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে। প্রতিনিয়তই তার বিরুদ্ধে এমনসব গুরুতর অভিযোগ উঠলেও নেওয়া হয়না কোন ব্যবস্থা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সাতনদীকে সিভিল সার্জন ডাঃ সবিজুর রহমান জানান, ‘আগের মেয়াদে সে আউটসোর্সিংয়ে ছিলো। গত ২২ মার্চ তারিখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবারও মাসুদ রানাকে নিয়োগ দেয়। সে দারোয়ান পদে নিয়োগ পেয়েছে।’ দারোয়ান পদে থেকে ল্যাবে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সদর হাসপাতালে জনবল সংকট আছে। ফলে যেখানে জনবল দরকার সেখানেই আউটসোর্সিং কর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়। এটা দোষের কিছু না।’



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!