জাতীয় ডেস্ক: বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে কোতোয়ালি থানা সিপিবির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
কোতোয়ালি থানা সিপিবির সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন-সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফরিদুল ইসলাম, সদস্য রেখা চৌধুরী, রাশিদুল সামির, যুব নেতা অভিজিৎ বড়ুয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে অস্থিরতা। বর্তমানে ক্ষমতায় যারা আছে এবং যারা শুধু ক্ষমতায় যেতে চায় কেউই জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না। তারা বিদেশি শক্তির ওপর ভর করে মসনদে বসতে চায়। অর্থনীতি এখনো নিয়ন্ত্রণহীন। সারাদেশে বাজারে আগুন জ্বলছে। দেশের বিপুল অংশের শ্রমজীবী মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। গোটা বাজার আজ গুটিকয়েক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ- উৎকণ্ঠা।
হামলা, মামলা ও নির্যাতন ও ভয়ের রাজনীতি ছড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। মিছিল-মিটিং ও বাকস্বাধীনতা নেই। এ সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। বর্তমান সরকার আমাদের ভাতের অধিকারই কেড়ে নেয়নি, ভোটের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে।
বক্তারা বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ এখন আমাদের দেশে নেই। বর্তমান সংসদ না ভেঙে নির্বাচন করলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। চলমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। যে নির্বাচন ব্যবস্থা, টাকার খেলা, পেশীশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজির খেলা সরকারগুলো বহাল রেখেছে তাতে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটার কোনো সুযোগ নেই। এ ভোটের নামে প্রহসন, গদি পরিবর্তন জনগণের জীবনমানের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না। কাজেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। পুরো ব্যবস্থা বদল করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে।
দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাচারের টাকা ফেরত এবং সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী, বিদেশি শক্তির অপতৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সিপিবি নেতারা।
দেশের এ সংকটময় সময়ে কমিউনিস্ট পার্টিকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, পাচারের টাকা ফেরত আনা এবং সাম্রজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী, বিদেশি শক্তির অপতৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর বিরুদ্ধে তীব্র গণসংগ্রাম গড়ে তুুুুলতে হবে।