নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের ফয়জুল্যাহপুর গ্রামের মৃত বাবর আলী সরদারের পুত্র জামাত নেতা আবু তালেব সরদারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেএলাকাবাসী।জামায়াত নেতার মিথ্যা মামলায় জেল খাটছে যুবলীগ নেতা কেসমত।
জানা যায়, জামায়াত নেতা আবু তালেব এর সাথে কিছুদিন যাবৎ একই গ্রামের রহিম বক্স মোল্যার পুত্র ওয়ার্ড আ’লীগের সদস্য মোর্তাজুল ইসলাম ও জামাল মোল্লার পুত্র ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কেসমত এর জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। কিন্তু গত ২২ ডিসেম্বর তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। সেই সুত্র ধরে জামাত নেতা তালেব সরদার নিজের মাথা ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।এই মামলায় যুবলীগ নেতা কেসমত জেল খাটছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আবু তালেব সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদের একাংশে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলেও দাবী করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, আবু তালেবের পিতা মৃত বাবর আলী কখনও মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। তার পিতা এলাকায় ডাকাত করে বেড়াতো। এলাকার সবাই বাবর আলী ডাকাত বলে চিনতো। তারা কী ভাবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবী করে?
একাধিক সুত্র জানায়, জামাতের সংগঠনে সক্রিয়ভাবে জড়িত আবু তালেব। বিগত ২০১৪ সালে জামাতের সহিংসতার সময় সে অর্থ দিয়ে তাদের সহযোগীতা করত। সে এখন ভোল পাল্টিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবী করছে।
এ ব্যাপারে ৭১ এর যুদ্ধকালীন কমান্ডার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সরদার বলেন, ফিংড়ী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ফয়জুল্যাপুর এলাকার মৃত বাবর আলী সরদার বা তার পরিবারের কেহ মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। কিন্তু তার সন্তানরা তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বিভ্রান্ত করছে।
ফিংড়ীতে জামায়াত নেতার মিথ্যা মামলায় জেল খাটছে যুবলীগ নেতা!
পূর্ববর্তী পোস্ট