আল-মাহফুজ: দূর্গা পূজার চাঁদার টাকা নিয়ে গোলযোগের জের ধরে এক বিএনপি নেতা লাঞ্চিত হয়েছে। এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাটি ঘটে সাতক্ষীরার শহর তলীয় ব্রহ্মরাজপুর সাহাপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, ব্রহ্মরাজপুর সাহাপাড়া গ্রামের মৃত বিজয় কৃষ্ণ সাহার পুত্র ও ব্রহ্মরাজপুর সার্বজনীন দূর্গা পূজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার সাহার সাথে একই গ্রামের মধুসূদন আঢ্য’র পুত্র ও জেলা তরুন লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য ও সঞ্জয় আঢ্য’র সাথে একটি জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের সূত্রপাত রয়েছে।
মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য জানায়, স্বপন কুমার সাহা ২০১৩-১৪ সালে সময়কার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন। বিএনপির রাজনীতিতে সে এখনো সক্রিয়। জমির বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বপন সাহার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইঙ্গিতে সমাজে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন ও ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এ বছর আসন্ন দূর্গাপূজার চাঁদা নেবে না বলে প্রচার দেয়। মঙ্গলবার (২৭) আগষ্ট সকালে বাড়ির মোড়ে দেখা পেয়ে তার কাছে বিষয়টি শুনতে গেলে হঠাৎ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এমনকি সে মারপিট করতে এগিয়ে এলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে উভয়পক্ষকে নিবৃত্ত করলে সবাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এই ঘটনায় বিএনপি নেতা স্বপন সাহা বাদী হয়ে মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য ও সঞ্জয় আঢ্য সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে সদর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। এই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য স্বপন সাহা বিভিন্ন মহলে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে এই গোলযোগের বিষয়টি পূজা মন্ডপের বলে আখ্যায়িত করে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তৎপর রয়েছে। এছাড়া এলাকার লোকজনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে একত্রিত করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা বলেও দাবী করেন জেলা তরুন লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য।
সঞ্জয় আঢ্য জানান, আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। বিএনপির লোকেরা এখনো থেমে নেই। তারা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এদিকে স্বপন সাহা জানান, তাদের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। তাদের সাথে জমি-জমার সংক্রান্ত বিরোধ তার কাকা চিত্তরঞ্জনের। আমার সাথে তাদের বাড়ীর মোড়ে দেখা হওয়া মাত্রই আচমকা হামলা চালায়। তারা আমার টাকা ও সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে। মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ঘটনা সঠিক। গোলযোগ পূজার টাকা নিয়ে ঘটেনি বলে দাবী করেন। তবে কি নিয়ে ঘটেছে তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। তবে স্বপন সাহা বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন।
মোবাইলে স্বপন সাহার সাথে কথা শেষ হওয়ার একটু পরেই তার ফোন থেকে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলিপ কুমার মল্লিক এ প্রতিবেদকের কাছে মোবাইলে তার পক্ষে সুপারিশ করেন।
এ সময় এ প্রতিবেদক তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখেন একজন বিএনপির লোকের হয়ে আপনি কেন সুপারিশ করছেন এমন কথা বলতেই তিনি মোবাইলের লাইন কেটে দেন।
ব্রহ্মরাজপুরে বিএনপি নেতা লাঞ্চিত : তরুন লীগ নেতার নামে মামলা করার চেষ্টা


পূর্ববর্তী পোস্ট