আকরামুল ইসলাম : মদ খেতে গেলে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমস্যা করে। একবার মদ খেতে গিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে আটক হয় কমল রায়। এরপর জেল থেকে বেরিয়ে মদ খাওয়ার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স করে নেয় কমল রায়। দশ বছর আগে লাইসেন্স করে মদ খাওয়া শুরু করে সে।
সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকসেবী কমল রায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালি ইউনিয়নের চমোরখালি গ্রামের মনোরজ্ঞন রায়ের ছেলে। তবে খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফফর রহমানের কথা রাখলেন মাদকসেবী কমল রায়। বুধবার আকষ্মিক ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়ে তার নিজ নামে মদ খাওয়ার লাইসেন্স ফিরিয়ে দেন তিনি।
এ সময় মাদকসেবী কমল রায় বলেন, কোন ঝামেলা মুক্তভাবে মদ খেতে দশ বছর আগে এ লাইসেন্স করেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। লাইসেন্স ফিরিয়ে দিলাম। আর কখনো মদ খাবো না।
খলিষখালি ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফফর রহমান জানান, কমল রায়ের মদ খাওয়ার লাইসেন্সটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেওয়া। গত দুই মাস আগেও নুতন করে লাইসেন্সের মেয়াদ বাড়িয়েছে। কমল রায়ের মদ খাওয়া নিয়ে স্ত্রীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগেই থাকতো। কিছুদিন আগে তার স্ত্রী ও মা আমার কাছে এসে ঘটনার অভিযোগ করে। সেই থেকে কমল রায়কে মদ খাওয়া থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে চৌকিদার পাঠিয়েছি। ভয়ভীতি দেখিয়েছি কিন্তু কাজ হয়নি। এরপর তাকে নিয়ে একত্রে বসে মদ ও মাদকদ্রব্য খাওয়ার কুফল সম্পর্কে বোঝানো শুরু করি। কমল রায় মাদকের কুফল সম্পর্কে বুঝে বুধবার নিজেই ইউনিয়ন পরিষদে এসে তার মদ খাওয়ার লাইসেন্স ফিরিয়ে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছে আর কখনো মদ ও মাদক গ্রহন করবে না। এ সময় তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পাশাপাশি পরিষদের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয় ও ভবিষ্যতে সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।