মানুষের অস্তিত্বের স্বার্থেই বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 26 ভিউস

জাতীয় ডেস্ক:

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন এবং বন্যপ্রাণী বিপন্ন হলে বিপর্যস্ত হবে মানবসভ্যতা। মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই বন এবং বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংরক্ষণে কাজ করতে হবে।

রবিবার (৫ মার্চ) বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উদযাপন উপলক্ষে বন অধিদফতরের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন যুগোপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দেশে ২৪টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ১৯টি জাতীয় উদ্যান, দুইটি বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা, তিনটি মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া, একটি উদ্ভিদ উদ্যান, তিনটি ইকোপার্ক, দুইটি শকুন নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়াও দুইটি রামসার সাইট ও ছয়টি ফ্লাইওয়ে সাইট রয়েছে।’

শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বন্যপ্রাণী অপরাধ উদঘাটনে তথ্যদাতাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। বন্যপ্রাণীর আক্রমণে জানমালের ক্ষতিপূরণ বিধিমালা অনুযায়ী নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ৩ লাখ এবং আহত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিতদের জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১২’ নীতিমালা অনুযায়ী পুরস্কৃত করা হচ্ছে। অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ফান্ড দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণে একটি অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন এবং এগুলোর বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নন-ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস তৈরি করা হয়েছে। দেশে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা, প্রকৃতিতে তাদের অবস্থা জানার জন্য ‘রেড লিস্ট অব বাংলাদেশ ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সুন্দরবনে বাঘসহ অন্যান্য প্রাণী সংরক্ষণে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন– পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন– জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমদ প্রমুখ।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!