মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অসীম মৃধা গ্রেফতার

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 143 ভিউস

সিরাজুল ইসলাম: শ্যামনগরের বহুল আলোচিত পশুপতি হত্যা মামলার প্রধান আসামী মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম মৃধা গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩.৩০ মিনিটে শ্যামনগররের বাঁধঘাটা নামক স্থানে অসীম মৃধার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে শ্যামনগর থানার এএসআই মাজারুল ইসলাম। গত ২০১০ সালের মে মাসে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের চুনকুঁড়ী ঢাকাই ঘের নামক স্থানে জমাজমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধে মৃত্যু সহাদেব বরকন্দাজের পুত্র পশুপতি বরকন্দাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পর দিন নিহতের কন্যা বিজলী রানী বাদি হয়ে তৎকালিন চেয়ারম্যান অসিম কুমার মৃধাকে ১নং আসামী করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় জিআর/১১০ নং মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের জন্য উদ্ধর্তন প্রশাসনের নির্দেশে সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। সিআইডি তদন্ত করে অসীম কুমার মৃধা সহ ৯জনকে বাদ দিয়ে মামলার অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করে। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বাদি সন্তষ্ট্য না হয়ে আদালতে না রাজি দিলে আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দেন। বিচার বিভাগীয় তদন্তে পশুপতি হত্যা কান্ডের আগে এবং পরে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের সাথে অসীম মৃধার অসংখ্যবার মোবাইল ফোনে পশুপতি হত্যা সংক্রান্ত কথা হওয়ায় বিচার বিভাগীয় তদন্তে অসীম মৃধাকে আসামী করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে অসীম মৃধা মামলার বিচার কাজ বাঁধাগ্রস্থ করতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি রিভিশন করে। রিভিশন মামলাটি গত ২০১৮ সালে আদালত খারিচ করে দিলে গত ২৬ শে জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে নিন্ম আদালত অসীম মৃধা বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারী পরোয়ানা শ্যামনগর থানায় পৌছলে ওসি হাবিল হোসেনের নেতৃত্বে অসীম মৃধাকে গ্রেফতারের পায়তারা চালানো হয়। অসীম মৃধা উপজেলা নির্বাচনে ভাইস্ চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তাকে নির্বাচন পর্যন্ত গ্রেফতার না করতে দলীয় উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ মৌখিক সময় নেয়। নির্বাচনের পরে অসীম মৃধা আদালতে আত্মসমার্পন না করায় ওসি হাবিল হোসেনের নেতৃত্বে গ্রেফতারের জন্য অসীম মৃধার শ্যামনগর বাধঘাটার বাড়িতে অভিযান চালানো হলে অসীম মৃধা ভারতে পালিয়ে যায়। মৃত পশুপতির কন্যা মামলার বাদী বিজলী রানী বলেন, আমার বাবার হত্যাকারী গ্রেফতার হওয়াতে আমি ও আমার পরিবার স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। এ দিকে মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারন জনগন অভিযোগ তুলে বলেন, ২০০৯ সালে আয়লা হওয়ার পরে আয়লা সহনশীল ঘর দেওয়ার নামে অসীম মৃধা এলাকা থেকে অর্ধকোটি টাকা তুলে মেরে দিয়েছে। অসীমের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না। বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইউনিয়নের সচেতন মহল।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!