রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহার: তোপের মুখে পালালেন ঠিকাদার

কর্তৃক Ayub hossaen Rana
০ কমেন্ট 134 ভিউস

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা আশাশুনি ও তালা উপজেলায় রাস্তার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহারে এলাকারবাসির তোপের মুখে কাজ ফেলে পালিয়েছেন রাকা এন্টার প্রইজের সত্ত্বাধিকারি ঠিকাদার তপন। বুধহাটা থেকে গুনাকরকাটি ও পাটকেলঘাটা থেকে দলুয়া সড়কে সংস্কারে কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহারে এঘটনা ঘটে। সুত্র জানায়, একাধিক অর্থ বছরে সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় অত্র এলকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের যোগসাজশে চরম অবহেলায় সড়কে এ অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। চলমান প্রকল্পে ধীরগতির কারণে এলাকায় ধুলোবালির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পাটকেলঘাটা হতে দলুয়া কাজের আরো খারাপ অবস্থা বিদ্যমান। এছাড়াও চলমান প্রকল্পের একাধিকবার সময়বৃদ্ধিকে এ অবস্থার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন এলাকাবাসি। সরেজমিনে,বুধহাটা থেকে বাঁকা সড়কে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। এছাড়া সড়কের পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি, প্রতিদিন ধুলোয় ধূসর হয়ে যাচ্ছে। যানবাহন চলাচলের সময় পথচারী কিংবা অন্য ক্ষুদ্র যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ ও পথচারীদের চলাচল করতে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসে। অন্যদিকে ধুলোর কারণে এ সড়কের দু’ধারে বসবাসকারী গ্রামবাসীর অবস্থাও নাকাল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে বাতাসে ধুলোবালি থাকায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় পথচারীরা শ্বাসকষ্ট, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো দিয়ে সাতক্ষীরা, খুলনা, পাইকগাছা, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকার বাস, মিনিবাস, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবহন যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া সাতক্ষীরা থেকে বাঁকা দরগাপুর ও পাটকেলঘাটা হয়ে দলুয়া সরাসরি মিনিবাস চলু থাকলেও বর্তমানে সড়কের বেহাল দশার কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অফিস সূত্র, আশাশুনির কুল্যার মোড় থেকে গুনাকরকাটি বাজার পর্যন্ত সোয়া এক কিঃ মিঃ ১ কোটি ৩০ লাখ ও তালায় ৪.২ কিঃ মিঃ এক কোটি ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দ । ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে কিছু কাজ করে এবং চলতি বিলও উত্তোলন করেছে রাকা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তপন চক্রবর্তী। সুত্র আরো জানায় চলতি বছরের জুনে চলমান প্রকল্পের শেষ সময়। কিন্তু ঠিকাদার তপন চক্রবর্তী কাজের ম্যাকাডাম (খোয়ার কাজ) প্রায় একবছর ফেলে রেখেছে। অনেকবার নোটিশ করেছি কিন্তু কাজ করছে না। স্থানীয় রফিক, জুয়েল, মামুন, রনি মারুফ বলেন সড়কের ভোগান্তির সংবাদ প্রকাশে ফের নিম্নমানের সামগ্রি নিয়ে কাজ শুরু করে ঠিকাদার। একালাবাসি নিম্ন মানে সমগ্রী ব্যাবহারে বাঁধা দেয় এবং অফিস কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসিরা ধেঁয়ে আসে এসময় ঠিকাদার ভো-দৌড়ে পালান। স্থানীয় ডা. রেজাউল্লাহ বলেন, সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে ধুলোবালিতে পথচারীরা শ্বাসকষ্ট, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন গর্ভবতি নারীদের সড়কে চরম ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। তিনি দ্রুত সময়ে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ করার দাবি জানান। ওদিকে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আবু সাইদ বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমাদের স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। সড়কে ধুলোবালির পরিমাণ অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় অনেক শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যে কারণে তারা নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত হতে পারছে না। এ বিষয়ে মেসার্স রাকা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী ক্ষমতাধর তপন চক্রবর্তী জানান, পালানোর কোন সুযোগ নেই। আমি আপনাদের সাথে দেখা করবো আমাকে একটু সময় দেন। নিম্ন মানের সামগ্রী সম্পর্কে বলেন আমি ইটগুলো পরে পরিবর্তন করে দেব। মামা কথা বলবে আপনার সাথে। সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী সুজায়েত হোসেন বলেন,তপন আর একটা কাজ করছে সেটা শেষ করে এগুলো শুরু করবে । নিম্ন মানের সামগ্রী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!